Saturday, July 11, 2015

অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কালচে কলাটিকে তরতাজা করে তুলুন! (ভিডিও)


কলা প্রায় সকলেই বেশ পছন্দের ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কলা ঘরে বেশীদিন কিনে রাখা যায় না। কারণ কলা দুই দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত পেকে একেবারেই কালচে হয়ে যায় খোসা। অনেকে এই অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা ফেলে দেন। কিন্তু আজ থেকে ফেলতে হবে না। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলেও খুব সহজ উপায়ে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা করে ফেলতে পারবেন। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ছোট্ট একটি ভিডিও। নিজের চোখেই দেখে শিখে নিন জাদুকরী খুবই সহজ পদ্ধতিটি।
যা যা লাগবেঃ
– অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কালচে ধরণের কলা
– একটি জিপলক ব্যাগ
– ১ ব্যাগ চাল
– ১ টি হেয়ার ড্রায়ার
পদ্ধতিঃ
– প্রথমে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাটি একটি চাল ভর্তি জিপলক ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে নিন।
– লক্ষ্য রাখবেন ব্যাগের ভেতরে যেন বাতাস না থাকে। যতোটা সম্ভব বাতাস বের করে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে নিন।
– এরপর এই ব্যাগ রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এতে কলার বাড়তি ময়েসচার শুষে যাবে।
– এরপর একটি হেয়ার ড্রায়ার ওয়ার্ম পয়েন্টে সেট করে গরম বাতাস কলাটিতে দিতে থাকুন। এবং দেখুন ম্যাজিক। একেবারেই জাদুমন্ত্রের মতো কলার গায়ের কালচে ভাব দূর হয়ে নতুনের মতো হলদে রঙ চলে আসবে।
– এভাবে পুরো কলাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গরম বাতাস লাগিয়ে কলার গায়ের দাগ দূর করে ফেলুন। এরপর কলা ছিলে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা কলার স্বাদ নিন।
– এভাবে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাও একেবারে তরতাজা করে ফেলতে পারেন নিমেষেই। নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

তেলাপোকা নিধনের কার্যকরী ঘরোয়া উপায়


তেলাপোকার জ্বালা আর সহ্য হয় না। সেই বহুকাল থেকেই নিজেদের ঘর জ্বালিয়ে যাচ্ছে তেলাপোকা। তেলাপোকা যেমন দেখতে ঘিনঘিনে ভীতিকর, তেমনি নোংরা ও রোগের বাহক।
তেলাপোকার অত্যাচারে কোনো জিনিসই ঠিক রাখতে পারছেন না? জেনে নিন তেলাপোকা নিধনের কার্যকরী একটি সহজ কৌশল।
 সমপরিমাণ বোরিক পাউডার ও বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন। এর সাথে মেশান তিন ভাগের এক ভাগ চিনি। এবার এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
 এবার তেলাপোকার আনাগোনার বিভিন্ন জায়গায় পেস্টটি লাগিয়ে দিন। এর ফলাফল হবে খুব ভালো। এবং খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনার ঘর থেকে বিদায় নেবে তেলাপোকা।

মাত্র ৩০সেকেন্ডে নারিকেল ভেঙ্গে শাঁস বের করুন (ভিডিও)


নারিকেল খেতে মন চাইলেই হয় না, তা ভেঙে শাঁস বের করতে হয়। কিন্তু নারিকেল ভাঙার যে ঝক্কি, তা অনেকেই পোহাতে চান না। আর যারা তা চান না, তাদের নারিকেল খাওয়াও হয় না।
তবে নারিকেল ভাঙার ক্ষেত্রে একটু কৌশল অবলম্বন করলেই আর কষ্টের কায়দা কসরত করতে হবে না। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই পাওয়া যাবে নারিকেলের শাঁস।
১. খোসা ছড়ানো নারিকেল ভাঙার আগে পাক্কা ১২ ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজের মধ্যে রাখতে হবে।
২. এরপর হাতুড়ি বা ওই ধরনের কোনো ভারি জিনিস দিয়ে নারিকেলের ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ধীরে ধীরে আঘাত করতে হবে, যতক্ষণ না তা কয়েক জায়গায় ফাটে।
৩. এরপর ফাটা মালাই ধরে আস্তে আস্তে টান দিলেই তা খুলে যাবে। আর অবিশ্বাস্যভাবে পেয়ে যাবেন কোনোরকম কাটাকুটি ছাড়াই পুরো নারিকেলের আস্ত শাঁস।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

পা জোড়াকে নজরকাড়া সুন্দর ও আকর্ষণীয় করুণ ৬ টি ধাপে!


শুধুমাত্র তখনই পায়ের যত্নের কথা মনে হয় যখন একজোড়া পছন্দের জুতো পায়ে পড়তে যাই। কিন্তু খুবই অল্প সময় ব্যয় করে এবং অল্প খরচে নিজের পা জোড়াকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন খুব সহজেই। আজকে শিখে নিন পা জোড়াকে নজরকাড়া সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার ছোট্ট ৬ টি ধাপ।
ধাপ-১
প্রথমেই বাসায় ফিরে সময় বের করে নিয়ে কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট। এতে করে পায়ের ময়লা ও মরা চামড়া Dirt Feet দূর করতে সুবিধা হবে।
ধাপ-২
দ্বিতীয় ধাপে পায়ের ত্বক foot skin স্ক্রাব করা জরুরী। একটি ভালো ফুট স্ক্রাবার দিয়ে ভালো করে পায়ের ত্বক স্ক্রাব করে নিন। চাইলে লেবুর রসে চিনি আধগলা করে নিয়ে স্ক্রাব করে নিতে পারেন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং কালচে ভাবও চলে যাবে।
ধাপ-৩
এবারে পা ভালো করে ধুয়ে অল্প করে মুছে নিন। তারপর একটি পিউমিস স্টোন বা ঝামা ইট নিয়ে পায়ের তোলার মরা মোটা চামড়া পরিষ্কার করতে থাকুন ভালো করে। ভালো করে পরিষ্কার করে পা Leg আবার ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ-৪
এই ধাপে পা ভালো করে পানি দিয় ঘুয়ে নিয়ে পায়ে লাগান বডি সোপ যা অল্প ক্ষার সমৃদ্ধ। ভালো করে পা ধুয়ে নিন এবং শুকনো করে মুছে ফেলুন,
ধাপ-
এবারে পায়ের নখের Toenail দিকে নজর দেয়ার পালা। নখ সুন্দর করে কেটে নিয়ে ফাইল করে ফেলুন। এবং লক্ষ্য রাখবেন নখের কোণে যেনো ময়লা জমে না থাকে। এতে করে পায়ের সৌন্দর্য Beauty আরও বৃদ্ধি পাবে।
ধাপ-৬
সবচাইতে শেষ ধাপে পা ময়েসচারাইজ করার পালা। পায়ের ত্বক নরম কোমল রাখতে চাইলে ত্বককে সবসময় ময়েসচারাইজ করে রাখুন। ভালো কোনো বডি ময়েসচারাইজার বা অলিভ অয়েল দিয়ে পা ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন।
ব্যস, এই ৬ টি ছোট্ট ধাপেই আপনি ফিরে পাবেন আপনার পায়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য। নরম কোমল তুলতুলে পা Soft springy foot পেতে এই ছোট্ট কাজগুলো ভুলবেন না একেবারেই।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

বর্ষাকালের মৌসুমে পায়ের যত্ন


বর্ষাকালের মৌসুমে সবথেকে খারাপ অবস্থা হয় আপনার সুন্দর পা দুটির। রাস্তার কাদা, জল পেরিয়ে আসতে হয় এর জন্য পেডিকিওর করা সুন্দর পা’ এর আঙুল, নখগুলির অবস্থা হয় দফারফা। কিন্তু সারাসপ্তাহ কাজ করার পর ছুটির দিনে আর ইচ্ছে করে না পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করার। কিন্তু পা’দুটো পরিস্কার করে সুন্দর করে তোলাও দরকার। কি করবেন? জেনে নিন কয়েকটি সহজ পদ্ধতি যাতে আপনার সুন্দর পেডিকিওর করা পা থাকে মসৃণ ও সুন্দর।
১) আপনি বুট পরুন বা খোলা জুতো পরুন, রোজ বাড়ি ফিরে অবশ্যই ভাল করে নিজের পা ধুন। পা ধোয়ার সময় সরু ব্রাশ দিয়ে ভাল করে আঙুলগুলো থেকে ঘষে ময়লা একদম বের করে দিন।
২) পা ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পর নরম তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে মুছে নিন। এরপর নিজের গায়ে যেমন ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগান সমানভাবে পায়ে ময়েসচারাইজার লোশন লাগান। পা’এর জন্য আলাদা ময়েশ্চারাইজার লোশন পাওয়া যায়।
৩) পা’য়ের নখ খুব বেশি লম্বা করবেন না। হাতের নখ যেমন প্রতি সপ্তাহে সুন্দর শেপ করে কেটে ফাইল করেন। ঠিক সমানভাবেই পায়ের নখগুলি সুন্দরভাবে কেটে ফাইল করুন এবং ফাইল করার সময় খেয়াল রাখবেন নখের কোন দিক অসমান যেন না হয়ে থাকে। কারণ অসমান নখে সবথেকে বেশি ময়লা জমে থাকে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন মুক্তি পাওয়ার সবচাইতে সহজ উপায়!


অনেককেই অভিযোগ আগে মাথা ভর্তি চুল ছিল, এখন আর চুল আগের মত ঘন নেই। আগের মত সুন্দরও নেই। দুটি কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। এক তো চুল পড়া, আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে চুলের মান খারাপ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ চুলগুলো আর আগের মত মজুবত, স্বাস্থ্যবান নেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি? জেনে ১০ টি সহজ টিপস, যা রোধ করবে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া। আপনার চুল আবারও হয়ে উঠবে ঘন, কালো, সুন্দর।
১/ গরম পানি মাথায় দেবেন না ভুলেও। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে চুল ভেজাবেন না।
২/ হেয়ার আয়রন, কারলিং আয়রন ইত্যাদি ব্যবহার করা বাদ দিন। চুলকে উত্তাপ দিয়ে স্টাইল করা হয় এমন সব কিছু এড়িয়ে চলুন।
৩/ ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ভালো, কিন্ত তাই বলে না খেয়ে থাকবেন না। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলেই কিন্তু চুল ঝরে যায়।
৪/ ভেজা চুল hair তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখবেন না। ভেজা চুল hair বেঁধে রাখবেন না, ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না, আঙ্গুল দিয়েও নাড়াচাড়া করবেন না। ভেজা চুল না শুকিয়ে ঘুমিয়ে যাবেন না।
৫/ খুব টাইট করে চুল hair আটকাতে হয়, এমন কোন হেয়ার স্টাইল করবেন না।
৬/ চুলে হেয়ার স্প্রে বা জেল ব্যবহার করবেন না। চুলে রঙ করা বা অন্যান্য অত্যাচারও যতটা সম্ভব কম করুন।
৭/ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া বাদ দিন।
৮/ প্রাকৃতিক উপায়ে মাথার খুশকি সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৯/ মাথায় যতটা সম্ভব রোড কম লাগান।
১০/ চুলে ময়লা হতে দেবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

Sunday, July 5, 2015

কিভাবে তৈরি করবেন গাজরের বরফি


উপকরণঃ
– ২ কাপ গাজর মিহি কুচি
– ২ কাপ দুধ
– ১/৩ কাপ ক্রিম
– আধা কাপ চিনি
– ২ টেবিল চামচ বাটার
– ১ চিমটি এলাচ গুঁড়ো
– বাদামকুচি বা কিশমিশ
সাজানোর জন্য
পদ্ধতিঃ
– প্রথমে প্যানে গাজর কুচি দুধ ও ক্রিম দিয়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন এবং দুধ ফুটে উঠতে দিন। ফুটে উঠার পর ১৫ মিনিট ভালো করে জ্বাল দিন।
– পুরো দুধ শুকিয়ে গাজর নরম হওয়া পর্যন্ত অল্প অল্প নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন। গাজর নরম ও দুধ শুকিয়ে এলে চিনি দিয়ে দিন।
– চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট নেড়ে জ্বাল দিন। এতে চিনির ময়েসচার শুকিয়ে যাবে।
– তারপর বাটার ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আবার ভালো করে মিশিয়ে নিন। ৪-৫ মিনিট ঘন নেড়ে যখন প্যান থেকে বরফি ছেড়ে আসবে তখন একটি ট্রে বা প্লেটে নামিয়ে নিন। এবং চেপে চেপে পাত্রের আকার দিন।
– এরপর নিজের পছন্দের আকারে কেটে নিন তবে তুলবেন না। কেটে প্রথমে সেট হতে দেবেন। উপরে কিশমিশ বা বাদাম দিয়ে ২ ঘণ্টা সেট হতে দিন।
– এরপর পরিবেশন করুন। তবে ঠাণ্ডা করে নিলে আরও মিষ্টির স্বাদ ভালো পাওয়া যাবে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

রমজানে চাই আম-দইয়ের বাদাম লাচ্ছি


উপকরণঃ
পাকা আমের ক্বাথ ২ কাপ,
মিষ্টি দই আধা কেজি,
চিনি ১ কাপ,
পানি ২ কাপ,
কাঠবাদাম বাটা আধা কাপ,
চিনাবাদাম বাটা সিকি কাপ,
পেস্তাবাদাম বাটা সিকি কাপ,
বরফ কুচি ১ কাপ।
প্রণালীঃ বরফ কুচি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

রমজানে ঘরেই তৈরি করুন বুন্দিয়া


তৈরি করতে যা যা লাগবে :
বেসন দেড় কাপ
পানি ১ কাপ
তেল দেড় চাচামচ
রং সামন্য
ভাজার জন্য তেল
বুন্দিয়া ভাজার ঝাঝরিতে
সিরার জন্য
পানি ১ কাপ
চিনি দের কাপ
২ এলাচ
রন্ধন প্রণালী :
একটি কড়াইয়ে এলাচ, চিনি ও পানি ফুটিয়ে দিয়ে সিরা করুন। ভাজা বুন্দিয়া হাল্কা গরম সিরায় ছাড়তে হয়।
বেসনে ভাল করে চেলে নিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে খুব ভালো করে বেসন ফেটুন। তেল দিয়ে আবার ফেটুন।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে ভাল করে গরম করে বুন্দিয়া ভাজার ঝাঝরিতে কিছু গুলানো বেসন দিন। ঝাঝরি নিজে নিজে তেলে বুন্দিয়া ফেলুন। তেল ঠিক মত গরম না করে বুন্দিয়া ফেললে বুন্দিয়া ফুলবে না।
বুন্দিয়া যদি লম্বা সেইপের পড়ে তাহলে বেটারে অল্প পানি দিয়ে ফেটে আবার তেলে বুন্দিয়া ফেলুন। বুন্দিয়া মচমচে করে ভেজে তেল থেকে তুলে সিরায় ছাড়ুন। এভাবে সব বুন্দিয়া ভেজে সিরায় দিন। আমি ১/৩ বেটারে হালকা লাল রঙ দিয়েছি।
সিরা থেকে উঠিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বুন্দিয়া।
পরামর্শ :
তেল ঠিক মত গরম না করে বুন্দিয়া ফেললে বুন্দিয়া ফুলবে না।
বুন্দিয়া যদি লম্বা সেইপের পড়ে তাহলে বেটারে অল্প পানি দিয়ে ফেটে আবার তেলে বুন্দিয়া ফেলুন।
প্রতিবার বুন্দিয়া ফেলার পরে ঝাঝরি পরিষ্কার করুন।
প্রতিবার বুন্দিয়া ভেজে উঠানোর পরে তেল ভাল করে গরম করে তারপর বুন্দিয়া ফেলুন।
ভাজা বুন্দিয়া হাল্কা গরম সিরায় ছাড়তে হয়।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

চিকেন নাগেট তৈরির রেসিপি

উপকরণ:

মুরগির মাংসের কিমা-৫০০গ্রাম
পেঁয়াজ (কেটে নেয়া) ১টি
ডিম-১টি
পাউরুটির স্লাইস- ৬টি
ব্রেডক্রাম্ব- ১কাপ (পাউরুটির গুঁড়ো)
ময়দা- ১কাপ
পানি- ১/২ কাপ
রসুনবাটা- ১চা চামচ
লবণ- ১চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
পদ্ধতি:
মুরগির মাংসের কিমা, পাউরুটির স্লাইস, রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ ও পেঁয়াজ একসাথে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিন এবং ১ টেবিল চামচ করে মিশ্রণ নিয়ে নাগেটের মতো/ নিজের ইচ্ছামতো আকৃতি দিন। আরেকটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন এবং অল্প পানি মেশান। এবার অপর একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব নিন। এখন নাগেট গুলো এক এক করে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ময়দা, ডিম এবং রেডক্রাম্ব মাখিয়ে নিন। কয়েকটি করে নাগেট নিয়ে ৫-৬ মিনিট ডুবো তেলে ভাজুন, সোনালি-বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। টমেটো সসের সাথে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন নাগেট।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

ওজন কমাতে সাহায্য করবে মাশরুম!


নিউজ ডেস্ক : ওজন কমাবে এবার মাশরুম! কয়েকশো বছর ধরে চীনা ওষুধে এমনই মাশরুম দেশের ওষুধে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাইওয়ানের গবেষকরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, মাশরুম অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া পরিবর্তন করে ওজন বৃদ্ধির গতি ধীর করে দেয়।
তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোলার ক্যানের মধ্যে যদি মাশরুমের নির্যাস দেওয়া হয়, তাহলে তা অবশ্য ওজন কমাতে সাহায্য করবে না।
চ্যাঙ গুঙ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকরা বলেন, লুসিডাম মাশরুম দীর্ঘদিন ধরে ভালো স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবনের পাওয়ার জন্যে বিক্রি করা হতো। মাশরুমটি সম্প্রতি পরীক্ষা করে দেখা হয় ইঁদুরের উপর। গবেষকরা কয়েকটি ইঁদুরকে চর্বিযুক্ত খাওয়ার খাওয়ানোর দুই মাস পর দেখতে পান যে সেগুলোর ওজন ৪২ গ্রাম হয়েছে।
অন্যদিকে, যেসব ইঁদুরকে একই সাথে উচ্চমাত্রায় মাশরুম নির্যাস খাওয়ানো হয়েছে, সেগুলোর ওজন হয় মাত্র ৩৫ গ্রাম।
রিপোর্টে গবেষকরা জানাচ্ছেন, মাশরুমের নির্যাস ওজন কমানো ও টাইপ টু ধরণের স্থূল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তার জন্যে মানুষের ওপর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলেও তারা মত দিয়েছেন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

ওজন কমান কিছু না করে

নিউজ ডেস্ক : ডায়েটিং ও ব্যায়াম করে তো সবাই ওজন কমায়, আপনি কমান কিচ্ছু না করে। আদত কথা তো ক্যালরি কমানো। সেটা কীভাবে করবেন আপনার ব্যাপার। তা হলে জানুন।
ক্যালোরি কি শুধু ব্যায়ামে খরচ হয়? ঘরের কাজ, বাজার-হাট, সিঁড়ি ভাঙা এমনকী শুয়ে-বসে থাকলেও সে খরচ হতে পারে। খরচ হয় নাচ-গানে-আড্ডায়। খাটুনির কাজে খরচ বেশি, আরামের কাজে কম। একটু হিসেব করে চললে এতো দিন যা খরচ হচ্ছিল তার চেয়ে ২০০-৪০০ ক্যালোরি খরচ বাড়ানো কোনও ব্যাপার নয়। চাই কি ৫০০-ও খরচ করে ফেলতে পারেন। তার সঙ্গে দু-চারটে খাবারকে একটু এদিক ওদিক করতে পারলে আরও ২০০-৪০০ ক্যালোরি কমানো সম্ভব। আর এটুকুতেই মাসে ২-৪ কেজি ওজন কমে যাবে আরামসে। ৬-৮ মাস লেগে থাকতে পারলে ১০-১২ কেজি ওজন কমার কথা, যদি না মাঝপথে ভুলভাল কিছু করে বসেন।
কী ভাবছেন? করে দেখবেন? তাহলে আসুন, দেখা যাক, কীভাবে কী করা যেতে পারে। ধরুন, ১০ তলায় থাকেন। লিফটে ওঠা-নামা করার অভ্যেস। তাই করুন। কিন্তু দিনান্তে একবার যদি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারেন, অনেক ক্যালোরি ঝড়বে। আপনার ওজন ৭০ কেজির কাছাকাছি হলে ১০ মিনিট টানা সিঁড়ি উঠলে ১৯০ ক্যালোরি খরচ হবে। পুরোটা না পারলে, রোজ অল্প-অল্প করে অভ্যেস করুন। এক সময় পুরোটা না থেকে উঠতে পারবেন।
ধরা যাক, উঠতে কষ্ট হয়, ওজন বেশি থাকলে সেটা খুবই স্বাভাবিক, সে ক্ষেত্রে নামুন, ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালোরি খরচ হবে। নিয়মমাফিক হাঁটার সময় নেই, কিন্তু বাজারটা নিজের হাতে করেন। হেঁটে বাজারে গিয়ে, বাজার করে হেঁটে বাড়ি ফিরতে ১০ মিনিটে ৩৫-৪০ ক্যালোরির মতো খরচ হবে। টানা হবে থাকতে থাকতে ঘাড়-পিঠ ধরে গেলে মিনিট দশেক স্ট্রেচিং করুন, ২৫-৩০ ক্যালোরি খরচ হবে। ১০ মিনিট বাসন ধুতে বা ইস্ত্রি করতেও ওই রকমই এনার্জি পুড়বে। ঘর মুছতে পারলে অবশ্য ৪০-৪৫ ক্যালোরি খরচ করতে পারবেন। ১০ মিনিট রান্না করলে ৩৫-৪০ ক্যালোরি। ১০ মিনিটে তো আর কোনও রান্না হয় না, কাজেই যতো বেশি সময় ধরে রাঁধবেন, ততো বেশি ক্যালোরি ঝড়াবেন।
এবার দেখা যাক, রিল্যাক্সেশনের সময় কতো খরচ হয়। ৭০ কেজির একজন মানুষ ১০ মিনিট নাচলে ৫৫-৬০ ক্যালোরি, খেলে ১৮ ক্যালোরি, টিভি দেখলে ১১ ক্যালোরি, ঘুমোলে ১০ ক্যালোরি। সেক্সুয়াল অ্যাকটিভিটিতেও ২৫-৩০ ক্যালোরির মতো খরচ হয়।
এই হিসেবের উপর ভিত্তি করে দেখে নিন আপাততো আপনার কতো ক্যালোরি খরচ হচ্ছে, তার উপর এক্সট্রা ৩০০-৪০০ ক্যালোরি খরচ করতে গেলে আপনাকে কোন কোন অ্যাকটিভিটি বাড়াতে হবে। সেগুলি আস্তে আস্তে বাড়াতে শুরু করুন।
ক্যালোরি ইনটেক কমাতে কী করবেন
ব্রেকফাস্ট স্কিপ করবেন না। বরং বেশি করে ব্রেকফাস্ট করুন। খেয়াল রাখবেন কার্বোহাইড্রেট, প্রেটিন-সব যেন থাকে খাবারে। মানে সুষম ব্রেকফাস্ট করুন। ডিনার করুন শোওয়ার অন্তত দু-ঘণ্টা আগে। এতে শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার বেড়ে ওজন কন্ট্রোলে থাকবে। দিনে ৩টা মূল খাবার ও দু-বার স্ন্যাক্স খান। ২-৩ ঘণ্টা বাদে বাদে ফল, ক্লিয়ার স্যুপ, গ্রিনটি জাতীয় লো-ক্যালোরির হালকা খাবার খান। এতেও শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়ে। কন্ট্রোলে থাকে অতিরিক্ত খিদে।

সিম্পল কার্বোহাইড্রেট যেমন চিনি, ময়দা, পাস্তা, নুডুল ইত্যাদির পরিবর্তে কমপ্লেক্স কার্বোহাউড্রেট যেমন ব্রাউন রাইস, ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি বা আটা নুডুল, শাক-সবজি-ফল খান। খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে খান ফ্রুট স্যালাড, কিসমিস, খেজুর বা এক টুকরো ডার্ক চকোলেট। প্যাকেট করা খাবারের বদলে খান কম তেলে বাড়িতে বানানো খাবার। কারণ প্যাকেটের খাবারে অতিরিক্ত নুন, চিনি ও ফ্যাট থাকে। সব কিছুই খান, তবে পরিমাণ আগের চেয়ে কম করুন। প্রয়োজনে ছোট মাপের থালা, বাটি, চামচ কিনে নিন। ব্যতিক্রম শুধু শাক-সবজি-ফল-স্যালাড ও জল। এগুলো খাওয়া আগের চেয়ে বাড়ান।
মনে রাখবেন
১. গ্রিনটি জাতীয় লো-ক্যালোরির হালকা খাবার খান
২. খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে খান ফ্রুট স্যালাড, কিসমিস, খেজুর বা এক টুকরো ডার্ক চকোলেট
৩. সব কিছুই খান, তবে পরিমাণ আগের চেয়ে কম করুন
৪. প্যাকেট করা খাবারের বদলে খান কম তেলে বাড়িতে বানানো খাবার
৫. প্রয়োজনে ছোট মাপের থালা, বাটি, চামচ কিনে নিন। কম খাওয়া হবে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

Friday, July 3, 2015

ডিমের খোসার অবাক করা দারুণ ৬ টি ব্যবহার!


ডিমের খোসা আমাদের কাছে ফেলে দেয়ার মতোই আবর্জনা। কিন্তু ডিমের খোসা ততোটা ফেলনা নয় যতোটা আমরা মনে করে থাকি। মূলত ডিমের খোসার ব্যবহার আমরা অনেকেই জানি না, আর এ কারণেই ডিমের খোসাকে আমাদের কাজে অকাজেরই মনে হতে থাকে। কিন্তু এই ফেলনা ডিমের খোসার আসলেই অনেক কার্যকরী ব্যবহার রয়েছে। জানতে চান ব্যবহারগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক।

১) ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে

অবিশ্বাস হলেও সত্যি যে, ডিমের খোসার রয়েছে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখার দারুণ ক্ষমতা। শুকনো ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে নিয়ে ডিমের সাদা অংসের সাথে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে গেলে ত্বক ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। ফলাফল নিজেই টের পাবেন।

২) ডিমের খোসা দারুণ পরিষ্কারক

ডিমের খোসা গুঁড়ো করে এতে সাধারণ হাড়ি পাতিল ধোয়ার ডিটারজেন্ট মেশানো পানির সাথে মিশিয়ে নিন। দেখবেন আগের চাইতেও বেশ ভালো করে অল্প পরিশ্রমেই পরিষ্কার করতে পারছেন সবকিছু। এছাড়াও ঘরের অন্যান্য দৈনন্দিন আসবাবপত্র যা সাবানপানি দিয়ে ধোয়া যায় সেগুলোতেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখুন কতোটা কার্যকরী।

৩) পোকামাকড় দূরে রাখে

অনেকেরই বাগান করার শখ রয়েছে, কিন্তু পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় এই শখ পূরণ হয় না ভালো করে। বাগানে ডিমের খোসা ছড়িয়ে রাখুন, দেখবেন পোকামাকড়ের যন্ত্রণা থেকে অনায়েসেই মুক্তি পাচ্ছেন। কারণ পোকামাকড় ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এছাড়াও ডিমের খোসা মাটির উর্বরতা বাড়ায়।

৪) পোষা প্রাণীর হাড় মজবুত করে

অনেকেই বাসায় কুকুর বা বেড়াল পালেন। এই পোষা প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য ডিমের খোসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পোষা প্রাণীর খাবারের সাথে ডিমের খোসা মিশিয়ে দিলে প্রাণীর হাড় মজবুত হয়।

৫) গাছের চারার সঠিক পুষ্টি

অনেকেই শখ করে নানা ফলের গাছ লাগাতে চান। কিন্তু বীচি থেকে গাছের অঙ্কুরোদগমের পদ্ধতিটি সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে সমস্যা হয়। এক কাজ করুন, এরপর ডিম ভাঙার সময় খোসা এমনভাবে ভাঙুন যেন উপরের খানিকটা অংশ ভাঙে। বাকি অংশ ফেলে না দিয়ে এতে মাটিসহ বীচি লাগিয়ে দিন। ডিমের খোসার ক্যালসিয়াম সঠিকভাবে চারা উৎপাদন করবে।

৬) ত্বকের চুলকানি বন্ধ করতে

অনেকেরই ত্বকের চুলকানি সংক্রান্ত নানা সমস্যা থাকে। এই ধরণের বিরক্তিকর সমস্যার সমাধানও করতে পারে ডিমের খোসা। একটি ডিমের খোসা আপেল সিডার ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন ২-৩ দিন। এরপর এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। ত্বকের চুলকানি সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

কুনুই ও হাঁটুর বিশ্রী কালো দাগ দূর করে দিন খুব সহজ ৩ টি উপায়ে


হাঁটু এবং কুনুইয়ের কাছে অনেকেরই ত্বক কালচে ধরনের এবং খসখসে হয়ে থাকে। এই কালচে খসখসে ভাবটি খুবি বিরক্তিকর। দেহের অন্যান্য অংশের সাথে একেবারেই বেমানান। অনেকে এ কারণে বিব্রত বোধ করেন। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক, জীবনযাপনের নানা সমস্যা, অযত্ন, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই সমস্যা কিন্তু খুব সহজেই দূর করে দেয়া সম্ভব। আজকে জেনে নিন হাঁটু ও কুনুইয়ের এই বিশ্রী কালচে দার ও খসখসে ভাব দূর করার খুবই সহজ উপায়গুলো।

১) হলুদ, মধুর ও দুধের প্যাক

হলুদের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, দুধের মধ্যে রয়েছে ব্লিচিং এজেন্ট এবং মধু প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার। এই প্যাকটি ব্যবহারের ফলে কুনুই ও হাঁটুর কালচে দাগ দূর হয় এবং খসখসে ভাবও দূর হয়।
  • – ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ১ টেবিল চামচ মধুতে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
  • – এই পেস্টটি কালচে দাগের উপরে পুরু করে লাগিয়ে নিন। এবং ২০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন।
  • – এরপর শুকিয়ে উঠলে একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে ২ মিনিট আলতো করে ঘষে নিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • – নিয়মিত ব্যবহারে কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাবেন।

২) চিনি এবং অলিভ অয়েলের স্ক্রাব

চিনি প্রাকৃতিক স্ক্রাবের কাজ করে। তকের উপরের মরা চামড়া তুলে ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে চিনির তুলনা নেই। সেই সাথে অলিভ অয়েলের ময়সচারাইজিং এজেন্ট ত্বকের মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে থাকে।
  • – সমপরিমাণের অলিভ অয়েল এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
  • – এরপর এই পেস্ট দিয়ে ভালো করে কালচে ত্বক স্ক্রাব করে নিন। প্রায় ৫ মিনিটের মতো ত্বকে এই পেস্টটি স্ক্রাব করে নিন।
  • – এরপর বডিওয়াশ দিয়ে ভালো করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, খুব সহজেই কুনুই ও হাটুর কালচে দাগ দূর করে ফেলতে পারবেন।

৩) লেবু ও মধুর প্যাক

সব চাইতে সহজ এবং এবং সহজলভ্য উপায়ে খুব দ্রুত হাঁটু এবং কুনুইয়ের কালচে দাগ দরতে পারেন লেবু ও মধুর মাধ্যমে। লেবুর ব্লিচিং ইফেক্ট এবং মধুর ময়েসচারাইজিং উপাদান হাঁটু ও কুনুইয়ের কালচে দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
  • – একটি লেবুর রসের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  • – এই লেবু ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের কালচে দাগের উপরে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন।
  • – ৩০ মিনিট পর সাধারনভাবেই ত্বক ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ বার এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন ভালো ফলাফলের জন্য

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>


চুল পড়ার সমস্যা চিরতরে দূর করুন মাত্র ২ টি কার্যকরী উপায়ে


যে কোনো ঋতুতেই চুল সংক্রান্ত সব চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা। বিশেষ করে এই বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সহসা চুল শুকাতে না চাওয়ার কারণে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ছোট্ট কিছু সমাধানই যথেষ্ট। আজকে জেনে নিন চুল পড়ার সমস্যা চিরতরে দূর করতে কি কি করতে পারেন।

১) নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ চুলের ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করতে সহায়তা করে। চুলের সঠিক ন্যারিশমেন্টের জন্য নারকেল দুধের বিকল্প নেই। এছাড়াও নারকেলের দুধ ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
  • – প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিন। এরপর এই কোরানো নারকেল ব্লেন্ডারে বা গ্রাইন্ডারে অথবা পাটায় বেটে নিন ভালো করে।
  • – এরপর পিষে বা বেটে নেয়া নারকেল একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে রেখে চিপে ভালো করে নারকেলের দুধ বের করে নিন। (নারকেলের দুধ বের করার পর নারকেল ফেলে না দিয়ে চিনি বা গুঁড় মিশিয়ে মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করতে পারেন)
  • – প্রয়োজনে প্রতিদিন এই নারকেলের দুধ চুলের গোঁড়ায় ভালো করে ম্যাসেজ করে নেবেন। অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন, যদি অতিরিক্ত না হয় তাহলে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাবেন।

২) মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই

মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া বন্ধে সহায়তা করে।
  • – মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
  • – যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
  • – এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
  • – এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
  • – এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

ঘরে প্রচণ্ড মাছির উপদ্রব? জেনে নিন মাছির যন্ত্রণা দূর করার ৩ টি দারুণ উপায়!


এই মৌসুমে মাছি একটা বড় যন্ত্রণার নাম। বর্ষাকাল এলেই মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এক তলা হোক বা ১০ তলা, মাছির উপদ্রব থেকে রেহাই পান না কেউ-ই। এই মাছি বহন করে অসংখ্য রোগের জীবাণু, যা কোনভাবে আপনার খাবার বা পানিতে লাগলেই মারাত্মক সব অসুখে আক্রান্ত হবেন আপনি। খাবার না হয় ঢেকে রাখলেন, কিন্তু মাচি ছোট শিশুদের শরীরেও বসে যার পরিনাম শিশুদের অসুস্থতা।
মাছি নাম যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া আসলে বেশ ঝামেলারই বটে। সারাক্ষণ দরজা জানালা বন্ধ করে বাঁচা যায় না। অন্যদিকে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করাও একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। তাহলে কী করবেন? আজ জেনে নিন ৩টি দারুণ উপায়। এই পদ্ধতিতে পরিবারের কারো স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই মাছিকে ভাগিয়ে দিতে পারবেন আপনি!

পদ্ধতি-১

  • -এই কাজে প্রয়োজন হবে কেবল একটি পাটের দড়ি!
  • -এক টুকরো পাটের দড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • -ভালো মত ভিজে গেলে পানি নিংড়ে নিন। এমন ভাবে যেন পানি পড়ে আপনার ঘর নোংরা না হয়, কিন্তু দড়িটি ভেজা থাকে।
  • -এবার এমন ভেজা দড়ি ঘরের দরজা বা জানালায় বেঁধে দিন। যেসব ঘরে মাছির উপদ্রব বেশি, সেসব স্থানে বেশী করে দিতে পারেন। এইভেজা পাটের দড়ি মাছিকে আঁটি আকর্ষণ করবে যে সে দড়িতেই গিয়ে বসবে, আপনার খাবারে নয়। জানালায় বেঁধে রাখলে ঘরে ঢোকার মুখেই বাঁধা পাবে, দড়িতে আকর্ষণ খুঁজে পেয়ে আর ঘরে প্রবেশ করবে না।
  • -দড়ি শুকিয়ে গেলে ভিজিয়ে দিতে ভুলবেন না।

পদ্ধতি-২

মাছিরা লবঙ্গের গন্ধ পছন্দ করে না। ভালো মানের লবঙ্গ (যেগুলো থেকে নির্যাস বের করে নেয়া হয়নি) একটু থেঁতো করে আপনার ডাইনিং টেবিলে রাখুন। মাছি কাছে ঘেঁষবে না।

পদ্ধতি-৩

মাছি পুদিনা খুবই অপছন্দ করে। রান্নাঘর বা খাবার টেবিলে টব সহ পুদিনার গাছ রাখুন, মাছি থাকবে দূরে।

ঈদে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে গাউন : কোথায় পাবেন, কেমন দাম, কীভাবে পরবেন?

গাউন পোশাকটিকে অতীতে যদিও পশ্চিমা দেশের পোশাক হিসেবেই ধরা হত, তবে এখন ভারত বা আমাদের দেশের তরুনীদের মাঝেও এই পোশাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তাই ঈদের পোশাক হিসেবে অনেকে বেছে নিচ্ছেন গাউনকে। আপনি কি এবার ঈদে গাউন পরার কথা ভাবছেন? তাহলে জেনে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। কোথায় পাবেন, কেমন দাম, কোন রকম দীর গড়নে কোন স্টাইলের গাউন মানাবে ইত্যাদি সব কিছু নিয়েই আমাদের এই ফিচার।
কেন এবার গাউন এর এত জনপ্রিয়তা? 
সদ্য শেষ হওয়া কান কান চলচিত্র উৎসবে বিশ্বের নামী দামী অভিনেত্রীদের দেখা গেছে গাউন পরেছেন। আর তাই গাউন নিয়ে একটু বেশি উৎসাহ কাজ করছে সবার মাঝে। তাছাড়া গরমের ভেতর ঈদ হবার কারনে সবাই-ই চাচ্ছেন স্বস্তিকর পোশাক পরতে আর তাতে গাউনের বিকল্প নেই। তাইতো এবার তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে গাউন।
কেমন গড়নে মানাবে কোন কাটের গাউন?
অনেকের ভাবেন গাউন পরলে হয়ত বেশী মোটা লাগবে বা খাটোদের আরো খাটো লাগবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও গাউন আর কেনেন না। আসলে কিন্তু কাটছাটে একটু পরিবর্তন আনলে যে কোন গড়নেই বেশ মানাবে গাউন। কোমরের দিকটা ভারী হলে হাফ বডি স্টাইলে বানানো গাউন পরলে দেখতে ভালো লাগবে। তাহলে কোমরের চওড়া ভাবটা চোখে পড়বে না।
উচ্চতা একটু কম হলে একরঙা গাউন গুলো বেছে নিন। লম্বা লাগবে। আর প্রিন্টের গাউন পরলে ছোট ছোট প্রিন্ট খুজে নিন। ভারী গড়ন হলে প্রিন্সেস লাইন স্টাইলে বানানো গাউনগুলো বেছে নিন। একটু লম্বা ও শুকনা দেখাতে সাহায্য করে এটি।
সামনের দিকে একটু ছোট আর পেছনের দিকে একটু বড় দেখতে গাউন পরুন। ভালো মানাবে।
যারা শুকনো বা হ্যাংলা শারীরিক গঠনের তারা উজ্জ্বল রঙের গাউন বেছে নিন। একটু বড় ফুল বা ডিজাইনের গাউনের আপনাকে বেশ মানাবে।
কেমন কাপড়ের গাউন পরবেন? রঙ হবে কেমন?
শিফন জর্জেটের এর কাপড়ে গাউনগুলোই এবার সবচেয়ে বেশি চলছে। দেশীয় ছোয়া আনতে টাই ডাই এর ব্যবহার করা হয়েছে। ‘জর্জেট, শিফন, সাটিন, নেট, লিনেন বিভিন্ন কাপড় দিয়ে গাউন তৈরি করা হচ্ছে।
অনেক কাপড় কিনে গাউন বানান। তারা একরঙা কাপড়ের গাউনের উপর প্রিন্টের কাপড়ের কটি দিয়ে গাউন বানাতে পারেন। এবার বেশ চলছে এই ডিজাইন।
বৃষ্টি, মেঘযুক্ত আবহাওয়া এসবের কথা চিন্তা করে এবার গাউনগুলোতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারই বেশি চোখে পড়ছে। তবে রাতের পার্টির জন্য কালো, নীল, মেরুন এই রঙগুলোও চলছে।
কেমন হবে গাউনের ডিজাইন?
বিভিন্ন কাটের গাউন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এ লাইন, হেম লাইনে এসে সামনে-পেছনে উঁচু-নিচু ও দুই পাশে ঝুলে গেছে, বডি হাগিং, হাফ বডি স্টাইল, এক ছাঁটের গাউন ইত্যাদি কাট প্রাধান্য পাচ্ছে।
আপনি চাইলে আনারকলি স্টাইলেও গাউন বানাতে পারেন। কিংবা কোমরে ভারী স্টোনের লেস দিয়ে গাউন বানাতে পারেন।
এবার ঈদে কর্দমাক্ত পরিবেশ থাকতে পারে। সেদিক খেয়াল রেখে মাটি পর্যন্ত ছোয়া গাউন গুলোর চেয়ে গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা গাউনগুলোর প্রাধান্য এবার বেশি।
কোথায় পাবেন? কেমন দামে?
দেশের প্রায় সব শপিংমলগুলোতেই আছে বাহারী রঙের, বাহারী ডিজাইনের গাউন। বসুন্ধরা সিটি, চাঁদনী চক, সিমান্ত স্কয়ার সবখানেই পাবেন পছন্দমত গাউন।
তাছাড়া দেশীয় ফ্যাশন হাউজ আড়ং, রঙ, কে ক্র্যাফট, ফড়িং এগুলোতো তো আছেই। কাপড় ও ডিজাইন ভেদে এসব গাউনের দাম পড়বে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ২৫ হাজার পর্যন্ত। কাপড় কিনে গাউন বানাতে চাইলে নিউমার্কেট থেকে গজ কাপড় কিনে নিতে পারেন। সাথে পছন্দমত লেস।
তাহলে কিনে ফেলুন পছন্দের গাউন আর ঈদ আনন্দে মেতে উঠুন প্রিয় পোশাকে।

Thursday, July 2, 2015

সন্তান ধারণে সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নারী অবশ্যই করুন এই কাজগুলো

আজকাল সন্তান না হওয়া বা বন্ধ্যা হওয়ার হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। দাদী-নানীদের আমলে যেখানে অনেকটা বয়স হয়ে গেলেও সন্তানের মা হওয়ার ব্যাপারটা ছিল, আজকাল দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো। বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেই নারীদের সন্তান ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। সন্তানহীন দম্পতিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। চলুন, আজ জেনে নিই একজন নারী তাঁর উর্বরতা নিশ্চিত করতে ও সন্তান ধারণে সক্ষম থাকতে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন। আগামী পর্বে থাকবে সন্তান ধারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে পুরুষের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত। ১) নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম বয়সেই সচেতন হতে হবে। নিজেকে জানুন, নিজের শরীর সম্পর্কে জানুন। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনার কোন অসুখ হলেই ডাক্তারের কাছে যাবেন, বিষয়টা যেন এমন না হয়। বরং বিবাহিত-অবিবাহিত প্রত্যেক নারীরই উচিত ২ বছর পর পর স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা নিজের একটি সম্পূর্ণ চেকাপ করানো। এতে অনেক ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত অসুখ সম্পর্কেও অগ্রিম জানতে পারবেন। ২) পিরিয়ড সংক্রান্ত যে কোন সমস্যাকে মোটেও অবহেলা করবেন না। পিরিয়ড না হওয়া, অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডে দেরি হওয়া, পিরিয়ডের সময় প্রচণ্ড ব্যথা বা অন্য যে কোন পিরিয়ড জনিত সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মোটেও লজ্জা পাবেন না বিষয়টি নিয়ে। ৩) নিজের ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সুস্থ সন্তান ধারণের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরী। বিশেষ করে যাদের তলপেট ভারী, তাঁরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন ও ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। জরায়ুর আশেপাশে চর্বি জমে গেলে সন্তান ধারণে অসুবিধা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ৪) স্বেচ্ছায় গর্ভপাত জিনিসটাকে শতভাগ পরিহার করুন। বিশেষ করে যদি আপনি প্রথমবার গর্ভবতী হয়ে থাকেন, তাহলে অতি অবশ্যই গর্ভপাত করাবেন না। পরবর্তীতে এর বড় মাসুল দিতে হতে পারে। আজকাল অনেক মেয়েই বিয়ের আগে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন, ফলে দেখা যায় এক বা একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত করাতে। এসব করে কেবল নিজেরই সর্বনাশ ডেকে আনছেন তাঁরা। ৫) আই পিল বা এই ধরণের যত ইমারজেন্সি কন্ত্রাসেপটিভ পিল আছে, এগুলো অবশ্যই পরিহার করুন। যদিও কোম্পানিগুলো দাবী করে যে এগুলো শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু সত্য হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে এগুলো ব্যবহার করলে পরিণাম সন্তান ধারণে অক্ষমতা। ৬) প্রথম সন্তান নেয়ার আগে জন্মবিরতিকরন পিল ব্যবহার করবেন না। ৭) নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ওজন বাড়ানো কিংবা কমানোর জন্য নয়, কায়িক পরিশ্রম করুন নিজেকে সুস্থ রাখতে। সুস্থ মা মানেই সুস্থ শিশু। ৮) ধূমপান বা মদ্যপান, কিংবা যে কোন নেশার অভ্যাস থেকে শত হাত দূরে থাকুন। ৯) খাদ্য তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। ডিম, দুধ, হরেক রকম সবজি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার নারীর উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। সূত্র উইমেন হেলথ, বিউটি মান্ত্রা

Monday, June 29, 2015

ব্রেক-আপ ঠেকানোর ১০টি সহজ উপায়

ইদানিং সম্পর্কগুলো যেমন সহজে গড়ে ওঠে, তেমন খুব সহজে ভেঙ্গেও যায়। অনেক সময় অনেক ছোট ছোট বিষয়ও আমাদের একটু অসতর্কতার কারনে বড় হয়ে ওঠে এবং যার পরিণতিতে একটি সুন্দর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। কিন্তু ঝগড়া বা তর্ক হলেই যে তা ব্রেক আপের লক্ষণ তা কিন্তু নয়, তবে কিছু বিষয়ের ব্যাপারে আসলেই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। আপনারই জন্যে রইল কিছু টিপস ১. আপনার সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না আপনার সঙ্গী যেমন তাকে আপনি তেমনিভাবেই পছন্দ করেছিলেন।তাই তাকে আমূল বদলাতে চেষ্টা করবেন না। কারোর সঙ্গে তুলনাকরে বদলাতে বলবেন না। এতে আপনার সঙ্গীর মনে হীনম্মণ্যতা তৈরী হবে। আবার হয়তো একদিন তিনি বদলে যাবেন কিন্তু সেদিন হয়তো আপনার প্রয়োজনও তার কাছে ফুরিয়ে যাবে। ২. মনোযোগ দিয়ে সঙ্গীর কথা শুনুন আপনার সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।এতে তার অভিযোগ, ভালোলাগা, মানসিকতা, প্রত্যাশা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আপনি। আর সেই সাথে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে। ৩. সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নয় অনেক সময় একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার জন্যে একজন বাইরের মানুষই যথেষ্ট। তাই চেষ্টা করুণ আপনাদের সম্পর্কের ব্যক্তিগত ব্যাপারে যতটা সম্ভব গোপনীয়তা বজায় রাখতে। ঝগড়া ঝাঁটি হলেই বাইরের কোন বন্ধুকে সমঝোতার জন্যে ডেকে আনবেন না। নিজেরা মেটান। ৪.পারিবারিক ব্যাপারে সতর্ক থাকুন শুধু নিজের পরিবারই নয়, গুরুত্ব দিন সঙ্গীর পরিবারকেও! নিজে যথেষ্ট পরিমাণে সংযুক্ত না থাকতে পারলেও খেয়াল রাখুন আপনার কারণে যাতে সঙ্গীর সাথে তার পরিবারের কোন দূরত্ব তৈরী না হয়। ৫. ঝগড়া দীর্ঘমেয়াদী হতে দেবেন না ঝগড়া একটি সম্পর্কে অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘদিন যাতে সেটি না গড়ায়। অল্প সময়ের ঝগড়া সম্পর্ককে মজবুত করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের দূরত্ব (কথা বন্ধ রাখা, দেখা না করা) একটি সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। ৬. বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিন আপনার সঙ্গী আপনার সাথে সময় কাটাবেন স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁকে তার জগত থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন না। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন তাকে তার বন্ধুদের সাথে আলাদা সময় কাটাতে দিন। নিজেও নিজের বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। আপনি তার সাথে সব সময় আঠার মত লেগে থাকলে তিনি অস্বস্তি বোধ করবেন। ৭. ঝগড়া দীর্ঘমেয়াদী হতে দেবেন না ঝগড়া একটি সম্পর্কে অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘদিন যাতে সেটি না গড়ায়। অল্প সময়ের ঝগড়া সম্পর্ককে মজবুত করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের দূরত্ব (কথা বন্ধ রাখা, দেখা না করা) একটি সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। ৮. অতীতের সম্পর্ক নিয়ে খোঁচাবেন না প্রত্যেকের জীবনেই একটি অতীত থাকে। হয়তো আপনি আপনার সঙ্গীর প্রথম প্রেম নন, কিন্তু তাই বলে কখনোই তার প্রথম প্রেম নিয়ে তাকে অযথা খোঁচাবেন না বা নিজের প্রথম ভালোবাসা নিয়ে ঝগড়া বিবাদের সময়েও তার সাথে তুলনা দিয়ে কথা বলবেন না। এতে তিনি যেমন বিরক্ত হবেন তেমনি আপনার মাঝেই নিরাপত্তাহীনতা নিজের অবচেতনেই তৈরী হবে। ৯. ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেবেন না আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত ডায়েরী, মেইল, এসএমএস তার অনুমতি ছাড়া ঘাঁটবেন না। এতে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। আর প্রত্যেকের একটি নিজস্ব জগত থাকে যা একান্তই তার। তার গোপন জিনিসের গোপনীয়তা বজায় রাখতে তাকে আপনিও সাহায্য করুন। ১০. অধিকার নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, ছাড় দিতে শিখুন প্রত্যেকেই চান, তার সঙ্গী সবার আগে, সবকিছুর আগে, তাকেই প্রাধান্য দিক। কিন্তু তাই বলে আপনার সঙ্গী যদি মাঝে মাঝে তার অন্য কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে সেটি নিয়ে ঝগড়া ঝাঁটি না করে বোঝার চেষ্টা করুন। যান্ত্রিক পৃথিবীতে মানবিক সম্পর্কগুলো ধরে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই যত্ন নিন আপনার সম্পর্কের। ভালো থাকুন যৌথতার জীবনে।

চিনে নিন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশ্বসেরা ৫টি ফাউন্ডেশন


সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক মেকআপ। আর সঠিক মেকআপের জন্য প্রয়োজন সঠিক কসমেটিকস এবং তার সঠিক ব্যবহার। মেকআপের একটি গুরুত্বপূণ অংশ হল ফাউন্ডেশন। ত্বকের ধরণ বুঝে বেছে নিতে হয় ফাউন্ডেশন। শুষ্ক, স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বকের জন্য ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়াটা যতটা সহজ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেটা ঠিক ততটাই কঠিন। এই কঠিন কাজটা সহজ় করার জন্য জ়েনে নিন বিশ্ব বিখ্যাত ৫ টি ফাউন্ডেশন যা শুধু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।
১। রিম্মেল লাস্টিং ফিনিশিং ফাউন্ডেশন (Rimmel Lasting Finish Foundation)
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য রিম্মেল লাস্টিং ফিনিশিং ফাউন্ডেশনটি খুবই উপকারী। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ত্বকের ম্যাট লুক ধরে রাখে। ৭টি শেডের এই ফাউন্ডেশনটি ট্রান্সফারপ্রুফ হওয়ায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত নিখুঁত স্কীন টোন দেয়।
২। ব্যারেমিনারেলস ম্যাট এসপিএফ১৫ ফাউন্ডেশন (Bareminerals Matte SPF15 Foundation)
লিক্যুইড ফাউন্ডেশনের চেয়ে পাউডার ফাউন্ডেশন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশী কার্যকরী। ব্যারেমিনারেলস এর পাউডার ফাউন্ডেশনের ক্রিমি টেক্সচার ত্বকের সম্পূণ তেল শুষে না নিয়ে হালকা একটু তেলতেল ভাব রেখে দেয়। এতে ত্বক খুব বেশী ড্রাই ও দেখায় না আবার তেলে চিটচিটেও করে না। ব্যারেমিনারেলসের ২০টি শেডের ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
৩। ববি ব্রাউন লং ওয়্যার ইভেন ফিনিশ কম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন (Bobbi Brown Long-Wear Even Finish Compact Foundation)
বিশ্ব বিখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ড ববি ব্রাউনের লং ওয়্যার ইভেন ফিনিশ ফাউন্ডেশনটি ত্বকে ঝরঝরে লুক দেয়। আবার খুব বেশী ড্রাইও করে না ত্বককে। এর এসপিএফ সূর্য এর ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। ১০টি নেচারাল শেডের ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
৪। লরা মার্চিয়ার অয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন (Laura Mercier Oil-Free Foundation)
আপনি যদি লিক্যুইড ফাউন্ডেশনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে এই ফাউন্ডেশনটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এটি অয়েল ফ্রি হওয়ায় খুব সহজ়ে ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয়। ত্বককে আরও পলিস এবং স্মুথ করে তোলে।
৫। রেভলন কালার স্টে মেকআপ ফর অয়েলি স্কীন (Revlon ColorStay Makeup for Oily/Combination Skin) 
সারাদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? অথবা মেকআপে থাকতে হবে লম্বা সময়? তাহলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন রেভলনের কালার স্টে ফাউন্ডেশনটি। তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান সমস্যা হল কিছুক্ষণ পর মুখ তেলতেল হয়ে যাওয়া। রেভলনের সফটফ্লেক্স টেকনোলজি অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে মুখ আনে ন্যাচারাল একটা লুক। এসপিএফ ৬ সমৃদ্ধ ২০ টি শেডে রেভলন ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
রেফারেন্সঃ Top 5 Foundations for Oily Skin
www.womanandhome.com