নারীর সৌন্দর্যে চুলের গুরুত্ব কতোখানি তা বলাই বাহুল্য। এছাড়াও পুরুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও চুল অনেকটা ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু প্রতিদিনের নানা ভুলের কারণে এবং অযত্ন-অবহেলায় আমরা এই সৌন্দর্যের প্রতীকটি নষ্ট করে ফেলি। আগের মতো ঘন কালো লম্বা চুলের অধিকারিণী নজরে পড়ে না। আবার পুরুষের টাক সমস্যাও বেড়ে গিয়েছে আগের চাইতে অনেক। তবে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধির মূল কৌশলগুলো কিন্তু আপনার হাতেই। দ্রুত চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে এই ছোট্ট টিপসগুলো অনেক বেশি কার্যকরী।
১) প্রতিবার গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী, কিন্তু তা বলে প্রতিবার গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যার ফলে চুল সহজে বাড়তে চায় না। তাই অন্তত ১ দিন পরপর চুল শ্যাম্পু করুন।
২) কেঁচিকে হ্যাঁ বলুন
অনেকেই ভাবেন চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব ঠিক রাখতে গেলে চুল একেবারেই কাটা ঠিক নয়। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পরপর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কাটা চুলের জন্য খুবই জরুরী। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে যা চুল বাড়তে সহায়তা করবে।
৩) তেলের বিকল্প নেই
চুলের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তেলের অন্য কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধিতে তেল যতোটা কাজ করে অন্য কোনো কেমিক্যাল সমৃদ্ধ উপাদান তা করতে পারে না। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন তেল গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ করা উচিত। এছাড়াও সপ্তাহ অন্তত ১ দিন ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েল সমপরিমাণে মিশিয়ে চুলে লাগানো উচিত। এতেও চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
৪) খাবারের দিকে নজর দিন
শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় চুলের বৃদ্ধি হয় ভেতরের পুষ্টিগুণ থেকে। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার রাখেন তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতই হবে। দ্রুত চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই, এ, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
৫) চুল আঁচড়ানোর সময় মনোযোগ দিন
চুল অনেক জোরে ঘষে আঁচড়ানো, চুলে টান লাগা, চুলের জট এক টানে ছাড়িয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়, চুল পড়া বাড়ে এবং চুল ভেঙেও যায়। চুল খুব ভালো করে সময় নিয়ে আঁচড়ান।
৬) ভেজা চুল তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না
চুল শুকানোর জন্য অনেকেই গোসল শেষে ভেজা চুল তোয়ালেতেই পেঁচিয়ে রাখেন যা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে চুলের গোঁড়া একেবারেই নরম হয়, যার কারণে চুল পড়া বাড়ে। চুল বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। গোসল সেরে ফ্যানের বাতাসে চুল ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। এবং অবশ্যই চুল ঝাড়ার কাজটিও করবেন না।
মনে রাখবেন, চুল বৃদ্ধির কাজটি ১ রাতেই হবে না। আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং অবশ্যই চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে। আপনার অসাবধানতা চুলের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং সাবধান হোন।
0 comments:
Post a Comment