Friday, June 19, 2015

বেশি খেয়ে দ্রুত ওজন কমাতে চান? তাহলে এই টিপস আপনার জন্য!


আমাদের অনেকেরই ধারনা ওজন কমাতে গেলে শুধু শসা গাজরের সালাদ খেয়েই থাকতে হয়। কিন্তু না শুধু শসা গাজরই শুধু নয় আর অনেক খাবারই রয়েছে কম ক্যালরির তালিকায়। এখানে উল্লেখিত খাবার গুলো কম ক্যালরি যুক্ত ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চমৎকার উৎস। যার ফলে এই খাবারগুলো কম ক্যালরির খাদ্য তালিকায় রাখা সম্ভব।
অ্যাস্পারাগাস :
যদিও এই সবজিটি আমাদের দেশীয় সবজি নয় এবং দেশে খুব সহজলভ্যও নয় তবে আমাদের দেশে এখন পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি এবং উচ্চ মাত্রার ফোলেট যা হৃদরোগীদের এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই উপকারী। উল্লেখ করার মতো তেমন ক্যালরি এতে নেই তাই চাইলে যতটুকু ইচ্ছে ততটুকু খাওয়া যায়।
সেলারি :
এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার খাদ্য আঁশ এবং পানির ঘনত্ব বেশি। সেলারি সাধারণত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ পরিচিত এবং এতে থাকা luteolin নামক যৌগের কারনে এর ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে।
কমলা :
কমলা শুধু উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এর জন্যই পরিচিত নয় এতে ক্যালরিও থাকে খুব সামান্য। গবেষণায় দেখা যায় যে কমলা দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ডিএনএ নষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমায়।
বাধাকপি :
এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার খাদ্য আঁশ, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী গুনাগুন বিশেষ করে প্রোষ্টেট, কোলন এবং ব্লাডার ক্যান্সারের প্রতিরোধে বেশ ভালো ভূমিকা রয়েছে।
বিট :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রনের চমৎকার উৎস হচ্ছে বিট এটি চাইলে কাঁচা জুস করে, সেদ্ধ বা গ্রীল করে খাওয়া যায়।
শসা :
জিরো ক্যালরি খাবারের তালিকায় শসাও রয়েছে কারন এতে রয়েছে প্রচুর পানি। শসা কর্মব্যস্ত জীবন যাপনে যারা অভ্যস্ত তাদের জন্য বিভিন্ন সালাদের একটি খুবই ভালো উপকরণ হতে পারে কারন তাদের দেহকে আর্দ্র রাখতে,দেহের বিষাক্ততা দূর করতে এবং ত্বকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সরবরাহ ঠিক রাখতে।
ফুলকপি :
প্রদাহ বিরোধী গুনাগুন সম্পন্ন কম ক্যালরির একটি সবজি হচ্ছে ফুলকপি। এটি হজমতন্ত্রের এবং হৃদ সংবহনতন্ত্রের জন্য উপকারী সবজি।
তরমুজ :
মিষ্টি এবং একটি সুস্বাদু ফল তরমুজে ক্যালরির পরিমান খুবই কম। এছাড়া এটি দেহের মেটাবলিজমকে উন্নত করতে এবং বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজ :
পেঁয়াজ হচ্ছে ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন, ভিটামিন বি১, বি৬, সি, খাদ্য আঁশ, কপার, ফোলেট, পটাসিয়াম ও ফসফরাসের খুব ভালো উৎস। এর এতো বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যে প্রত্যেকেরই উচিত তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ রাখা।
গাজর :
কাঁচা সালাদের জন্য, রান্নার জন্য বা জুস হিসেবে এটি খুবই ভালো। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রা বিটা-ক্যারোটিন যা দেহের ভেতরে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। এটা ত্বক, চুল, দৃষ্টি শক্তির উন্নতির জন্য এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ব্রকলি :
ব্রকলি উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ, সি ক্যালসিয়াম এবং ফোলিক এসিড সমৃদ্ধ। এটি দেহের বিষাক্ততা দূরীকরণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
জুকিনি :
এটি মূলত ইটালিয়ান একটি সবজি।ধীরে ধীরে আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে বাংলাদেশেও পাওয়া যায়। এটি ধুন্দল প্রজাতির। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম যা হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটির ক্যালরি খুব কম এবং স্বাদ বেশ ভালো। ভাজি করে, বেক করে এমনকি পাস্তা রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়।
জাম্বুরা :
এটি ওজন কমানোর খাদ্য হিসাবে বেশ পরিচিত। এতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও খাদ্য আঁশ আছে। এটি দেহের মেটাবলিজমকে উন্নত করে ওজন কমানোর জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী।
যদি ওজন কমাতে চান বা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে চান তবে এই ফল এবং সবজি গুলো অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এই খাবারগুলো দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি অর্থাৎ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থই শুধু সরবরাহ করবে না সাথে সাথে দেহকে শক্তিশালী ও মেটাবলিজমকে উন্নত করে যেকোনো ধরনের অসুস্থতা মোকাবেলা করে। অস্বাস্থ্যকর নাস্তা এবং জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে এই খাবার গুলো খেলে শরীর ভালো রাখার সাথে সাথে ভালো স্বাস্থ্যও বজায় রাখবে।
লেখিকা
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর) (এমপিএইচ)

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

0 comments:

Post a Comment