Thursday, June 18, 2015

সুস্থ থাকতে বর্ষাকালে কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন

নিউজ ডেস্ক : বর্ষার সময়ে অনেকেই নানা রোগে ভুগেন। এই সময়ে বিশেষ করে পেটের নানা সমস্যা কাবু করে দেয়। এইসময়ে গরম গরম তেলেভাজা, সিঙাড়া সহ একাধিক রাস্তার খাবার দেখলেই যেন জিভে জল চলে আসে। আর সেই লোভ সামলাতে না পেরে আমরা অনেকেই সেই খাবারের দিকে হাত বাড়িয়ে রসনা তৃপ্তি করি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে যেসকল তেলেভাজা জাতীয় খাবার আমরা বেশি করে খাই তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বাতাসে এমনিতেই সেইসময় আর্দ্রতা বেশি থাকে। তার উপরে বেশি তেলে ভাজা নানা খাবার হজম হতে চায় না ফলে শরীরে নানা রোগের উপসর্গ তৈরি হয়। আসুন দেখে নেওয়া যাক, সুস্থ থাকতে বর্ষাকালে কোম কোন খাবার এড়িয়ে চললেই মঙ্গল।
পকোড়া : ভরা বর্ষাতে সন্ধেবেলায় গরম গরম তেলেভাজা আর চা, একেবারে জিভে জল এনে দেয়। তবে জানেন কি, বর্ষায় এই ধরনের খাবার খাওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা।
চটপটি, ফুচকা : বর্ষায় এই খাবারও আমাদের সবার পছন্দের। তবে রাস্তার ধারের দোকানের চটপটি, ফুচকা সুস্বাদু হলেও তা পেটে গেলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ এর মধ্যে দেওয়া চাটনি বা মশলা তৈরির সময় যে পানি ব্যবহার করা হয় তা দূষিত থাকে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সমুচা, সিঙাড়া : একই কথা খাটে এই খাবারগুলোর ক্ষেত্রেও। এগুলো খেয়েই বর্ষাকালে পেট খারাপ, অ্যাসিডিটি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয় সকলে।
রাস্তার রোল, নুডুলস : রাস্তার মোড়ের দোকান থেকে সন্ধেবেলা অনেকেই রোল-নুডুলস কিনে পেট ভরান। তবে সাবধান, এতে দেওয়া সস কিন্তু সংক্রমণের অন্যতম বড় কারণ।
শাক-সবজি : চিকিৎসকেরা আমাদের সকলকেই বেশি পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার কথা বললেও বর্ষা তা আরও বেশি ভালোভাবে না ধুয়ে খাবেন না। কারণ শাক-সবজিতে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পোকামাকড়ের সংক্রমণ ঘটে।
দোকানের ফলের রস : ফলের রস খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হলেও বর্ষাকালে দোকানের ফলের রস এড়িয়ে চললেই ভালো হয়। একইভাবে বাইরের কাটা ফলও খাবেন না।
সি ফুড সি ফুড : সাধারণত বেশ কিছুদিন কোল্ড স্টোরেজে থাকার পর আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়। ফলে সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে হলে সামুদ্রিক মাছকে বর্ষার সময় না খেলেই ভালো হয়।
কার্বোনেটেড পানীয় : বর্ষাকাল হোক অথবা অন্য কোনও সময়, কার্বোনেটেড পানীয় সবসময়ই এড়িয়ে চলুন। নুন, চিনি, লেবু অথবা ঘোল খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকবে আর পেটও খারাপ হবে না। কার্বোনেটেড পানীয় যেকোনও সময়ই আমাদের শরীরের খনিজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। একইসঙ্গে দেহের ওজনও বহুগুণ বেড়ে যায় এসব পানীয় খেলে।

0 comments:

Post a Comment