Monday, June 29, 2015

ব্রেক-আপ ঠেকানোর ১০টি সহজ উপায়

ইদানিং সম্পর্কগুলো যেমন সহজে গড়ে ওঠে, তেমন খুব সহজে ভেঙ্গেও যায়। অনেক সময় অনেক ছোট ছোট বিষয়ও আমাদের একটু অসতর্কতার কারনে বড় হয়ে ওঠে এবং যার পরিণতিতে একটি সুন্দর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। কিন্তু ঝগড়া বা তর্ক হলেই যে তা ব্রেক আপের লক্ষণ তা কিন্তু নয়, তবে কিছু বিষয়ের ব্যাপারে আসলেই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। আপনারই জন্যে রইল কিছু টিপস ১. আপনার সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না আপনার সঙ্গী যেমন তাকে আপনি তেমনিভাবেই পছন্দ করেছিলেন।তাই তাকে আমূল বদলাতে চেষ্টা করবেন না। কারোর সঙ্গে তুলনাকরে বদলাতে বলবেন না। এতে আপনার সঙ্গীর মনে হীনম্মণ্যতা তৈরী হবে। আবার হয়তো একদিন তিনি বদলে যাবেন কিন্তু সেদিন হয়তো আপনার প্রয়োজনও তার কাছে ফুরিয়ে যাবে। ২. মনোযোগ দিয়ে সঙ্গীর কথা শুনুন আপনার সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।এতে তার অভিযোগ, ভালোলাগা, মানসিকতা, প্রত্যাশা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আপনি। আর সেই সাথে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে। ৩. সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নয় অনেক সময় একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার জন্যে একজন বাইরের মানুষই যথেষ্ট। তাই চেষ্টা করুণ আপনাদের সম্পর্কের ব্যক্তিগত ব্যাপারে যতটা সম্ভব গোপনীয়তা বজায় রাখতে। ঝগড়া ঝাঁটি হলেই বাইরের কোন বন্ধুকে সমঝোতার জন্যে ডেকে আনবেন না। নিজেরা মেটান। ৪.পারিবারিক ব্যাপারে সতর্ক থাকুন শুধু নিজের পরিবারই নয়, গুরুত্ব দিন সঙ্গীর পরিবারকেও! নিজে যথেষ্ট পরিমাণে সংযুক্ত না থাকতে পারলেও খেয়াল রাখুন আপনার কারণে যাতে সঙ্গীর সাথে তার পরিবারের কোন দূরত্ব তৈরী না হয়। ৫. ঝগড়া দীর্ঘমেয়াদী হতে দেবেন না ঝগড়া একটি সম্পর্কে অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘদিন যাতে সেটি না গড়ায়। অল্প সময়ের ঝগড়া সম্পর্ককে মজবুত করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের দূরত্ব (কথা বন্ধ রাখা, দেখা না করা) একটি সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। ৬. বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিন আপনার সঙ্গী আপনার সাথে সময় কাটাবেন স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁকে তার জগত থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন না। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন তাকে তার বন্ধুদের সাথে আলাদা সময় কাটাতে দিন। নিজেও নিজের বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। আপনি তার সাথে সব সময় আঠার মত লেগে থাকলে তিনি অস্বস্তি বোধ করবেন। ৭. ঝগড়া দীর্ঘমেয়াদী হতে দেবেন না ঝগড়া একটি সম্পর্কে অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘদিন যাতে সেটি না গড়ায়। অল্প সময়ের ঝগড়া সম্পর্ককে মজবুত করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের দূরত্ব (কথা বন্ধ রাখা, দেখা না করা) একটি সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। ৮. অতীতের সম্পর্ক নিয়ে খোঁচাবেন না প্রত্যেকের জীবনেই একটি অতীত থাকে। হয়তো আপনি আপনার সঙ্গীর প্রথম প্রেম নন, কিন্তু তাই বলে কখনোই তার প্রথম প্রেম নিয়ে তাকে অযথা খোঁচাবেন না বা নিজের প্রথম ভালোবাসা নিয়ে ঝগড়া বিবাদের সময়েও তার সাথে তুলনা দিয়ে কথা বলবেন না। এতে তিনি যেমন বিরক্ত হবেন তেমনি আপনার মাঝেই নিরাপত্তাহীনতা নিজের অবচেতনেই তৈরী হবে। ৯. ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেবেন না আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত ডায়েরী, মেইল, এসএমএস তার অনুমতি ছাড়া ঘাঁটবেন না। এতে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। আর প্রত্যেকের একটি নিজস্ব জগত থাকে যা একান্তই তার। তার গোপন জিনিসের গোপনীয়তা বজায় রাখতে তাকে আপনিও সাহায্য করুন। ১০. অধিকার নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, ছাড় দিতে শিখুন প্রত্যেকেই চান, তার সঙ্গী সবার আগে, সবকিছুর আগে, তাকেই প্রাধান্য দিক। কিন্তু তাই বলে আপনার সঙ্গী যদি মাঝে মাঝে তার অন্য কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে সেটি নিয়ে ঝগড়া ঝাঁটি না করে বোঝার চেষ্টা করুন। যান্ত্রিক পৃথিবীতে মানবিক সম্পর্কগুলো ধরে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই যত্ন নিন আপনার সম্পর্কের। ভালো থাকুন যৌথতার জীবনে।

চিনে নিন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশ্বসেরা ৫টি ফাউন্ডেশন


সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক মেকআপ। আর সঠিক মেকআপের জন্য প্রয়োজন সঠিক কসমেটিকস এবং তার সঠিক ব্যবহার। মেকআপের একটি গুরুত্বপূণ অংশ হল ফাউন্ডেশন। ত্বকের ধরণ বুঝে বেছে নিতে হয় ফাউন্ডেশন। শুষ্ক, স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বকের জন্য ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়াটা যতটা সহজ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেটা ঠিক ততটাই কঠিন। এই কঠিন কাজটা সহজ় করার জন্য জ়েনে নিন বিশ্ব বিখ্যাত ৫ টি ফাউন্ডেশন যা শুধু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।
১। রিম্মেল লাস্টিং ফিনিশিং ফাউন্ডেশন (Rimmel Lasting Finish Foundation)
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য রিম্মেল লাস্টিং ফিনিশিং ফাউন্ডেশনটি খুবই উপকারী। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ত্বকের ম্যাট লুক ধরে রাখে। ৭টি শেডের এই ফাউন্ডেশনটি ট্রান্সফারপ্রুফ হওয়ায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত নিখুঁত স্কীন টোন দেয়।
২। ব্যারেমিনারেলস ম্যাট এসপিএফ১৫ ফাউন্ডেশন (Bareminerals Matte SPF15 Foundation)
লিক্যুইড ফাউন্ডেশনের চেয়ে পাউডার ফাউন্ডেশন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশী কার্যকরী। ব্যারেমিনারেলস এর পাউডার ফাউন্ডেশনের ক্রিমি টেক্সচার ত্বকের সম্পূণ তেল শুষে না নিয়ে হালকা একটু তেলতেল ভাব রেখে দেয়। এতে ত্বক খুব বেশী ড্রাই ও দেখায় না আবার তেলে চিটচিটেও করে না। ব্যারেমিনারেলসের ২০টি শেডের ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
৩। ববি ব্রাউন লং ওয়্যার ইভেন ফিনিশ কম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন (Bobbi Brown Long-Wear Even Finish Compact Foundation)
বিশ্ব বিখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ড ববি ব্রাউনের লং ওয়্যার ইভেন ফিনিশ ফাউন্ডেশনটি ত্বকে ঝরঝরে লুক দেয়। আবার খুব বেশী ড্রাইও করে না ত্বককে। এর এসপিএফ সূর্য এর ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। ১০টি নেচারাল শেডের ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
৪। লরা মার্চিয়ার অয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন (Laura Mercier Oil-Free Foundation)
আপনি যদি লিক্যুইড ফাউন্ডেশনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে এই ফাউন্ডেশনটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এটি অয়েল ফ্রি হওয়ায় খুব সহজ়ে ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয়। ত্বককে আরও পলিস এবং স্মুথ করে তোলে।
৫। রেভলন কালার স্টে মেকআপ ফর অয়েলি স্কীন (Revlon ColorStay Makeup for Oily/Combination Skin) 
সারাদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? অথবা মেকআপে থাকতে হবে লম্বা সময়? তাহলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন রেভলনের কালার স্টে ফাউন্ডেশনটি। তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান সমস্যা হল কিছুক্ষণ পর মুখ তেলতেল হয়ে যাওয়া। রেভলনের সফটফ্লেক্স টেকনোলজি অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে মুখ আনে ন্যাচারাল একটা লুক। এসপিএফ ৬ সমৃদ্ধ ২০ টি শেডে রেভলন ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
রেফারেন্সঃ Top 5 Foundations for Oily Skin
www.womanandhome.com

যে ৭টি টিপস মেনে চললে ঈদের পোশাক কিনে ঠকতে হবে না আপনাকে!


ঈদের শপিং কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছে ভিড়। এই জমজমাট ঈদের বাজারে অনেকেই যে বিড়ম্বনার মুখোমুখি হন সেটা হলো, পোশাক কিনে ঠকে যাওয়া। দোকানে এক রকম রঙ দেখেছেন, বাসায় এনে দেখলেন আরেক রকম। কিংবা পোশাকের সাইজে সমস্যা, ছেঁড়া-ফাটা বা অন্য কোন ত্রুটি। অনেক দোকানেই পোশাক ফেরত দিতে গেলে নেয় না আর এই ঈদের বাজারে সেটা একটা বিড়ম্বনাও বটে। কী করবেন? জেনে রাখুন ৭টি দারুণ টিপস। এগুলো মেনে পোশাক কিনলে ঠকতে হবে না আপনাকে।
১) চেষ্টা করুন ট্রায়াল করা যায় এমন দোকান থেকে পোশাক কিনলে। পোশাক কেনার সেরা উপায় হচ্ছে পোশাক পরে কেনা। যদি সেই সুযোগ না থাকে, তাহলে পরনের একটি কাপড় নিয়ে যান। সেটার সাথে নিখুঁত মাপ দিয়ে কিনুন। নিজের পোশাক হোক বা অন্যের, সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
২) পোশাক কেনার সময় বলুন দোকানের আলো একটু কমিয়ে দিতে, তাহলে পোশাকের আসল রঙটা বুঝতে পারবেন। এটা সম্ভব না হলে দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে পোশাকটি একটু দেখাতে বলুন। দোকানের উজ্জ্বল আলোয় পোশাকের রঙ একদম বদলে যায়। বিশেষ করে রাতের বেলাতে।
৩) থ্রি পিস কেনার সময় বলুন কামিজ ও সালোয়ারের কাপড় আপনার সামনে মেপে দিতে। ওড়নাও মেপে নিন। অনেক পোশাকেই দেখা যায় কাপড় পরিমাণে কম থাকে প্রয়োজনের চাইতে।
৪) শাড়ি কেনার সময় অবশ্যই মেপে কিনবেন। একটি আদর্শ শাড়ি হবে ১২ হাত দৈর্ঘ্যের। ব্লাউজ পিস থাকলে সেটি থাকবে আলাদা। কিন্তু আজকাল অনেক শাড়িতেই ১২ হাত থাকে না। তাই মেপে কেনা অত্যাবশ্যকীয়।
৫) পোশাক প্যাকেটে ভরার আগে নিজে ভালো করে একবার চেক করুন। কোথাও ছেঁড়া-ফাটা বা অন্য কোন ত্রুটি আছে কিনা। চেক করে নিয়ে তবেই পেমেন্ট দিন।
৬) যে দোকান থেকেই পোশাক কিনুন না কেন, তাঁদেরকে অবশ্যই বলে আসুন যে পোশাকে কোন সমস্যা হলে আপনি ফেরত নিয়ে আসবেন। এছাড়াও কতদিনের মাঝে আসতে হবে বা পোশাক বদলের জন্য তাঁদের নিয়ম কানুন কী ইত্যাদি জেনে আসবেন। মানি রিসিটটিও যত্ন করে রাখুন। যারা পোশাক ফেরত নেন না বা বদলে দেন না, তেমন দোকান থেকে পোশাক নেবেন না।
৭) একটি দোকানে ঢুকেই শপিং করে বের হয়ে আসবেন না। কোন পোশাক পছন্দ হলে অন্য কয়েকটি দোকানে দেখুন পোশাকের দরদাম। একই রকম বা কাছাকাছি পোশাক অন্যান্য দোকানে কী দামে বিক্রি হচ্ছে সেটা দেখে বুঝে তবেই পোশাক কিনুন।

দ্রুত চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেনে চলুন ছোট্ট ৬ টি টিপস

নারীর সৌন্দর্যে চুলের গুরুত্ব কতোখানি তা বলাই বাহুল্য। এছাড়াও পুরুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও চুল অনেকটা ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু প্রতিদিনের নানা ভুলের কারণে এবং অযত্ন-অবহেলায় আমরা এই সৌন্দর্যের প্রতীকটি নষ্ট করে ফেলি। আগের মতো ঘন কালো লম্বা চুলের অধিকারিণী নজরে পড়ে না। আবার পুরুষের টাক সমস্যাও বেড়ে গিয়েছে আগের চাইতে অনেক। তবে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধির মূল কৌশলগুলো কিন্তু আপনার হাতেই। দ্রুত চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে এই ছোট্ট টিপসগুলো অনেক বেশি কার্যকরী।

১) প্রতিবার গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না

চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী, কিন্তু তা বলে প্রতিবার গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যার ফলে চুল সহজে বাড়তে চায় না। তাই অন্তত ১ দিন পরপর চুল শ্যাম্পু করুন।

২) কেঁচিকে হ্যাঁ বলুন

অনেকেই ভাবেন চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব ঠিক রাখতে গেলে চুল একেবারেই কাটা ঠিক নয়। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পরপর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কাটা চুলের জন্য খুবই জরুরী। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে যা চুল বাড়তে সহায়তা করবে।

৩) তেলের বিকল্প নেই

চুলের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তেলের অন্য কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধিতে তেল যতোটা কাজ করে অন্য কোনো কেমিক্যাল সমৃদ্ধ উপাদান তা করতে পারে না। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন তেল গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ করা উচিত। এছাড়াও সপ্তাহ অন্তত ১ দিন ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েল সমপরিমাণে মিশিয়ে চুলে লাগানো উচিত। এতেও চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।

৪) খাবারের দিকে নজর দিন

শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় চুলের বৃদ্ধি হয় ভেতরের পুষ্টিগুণ থেকে। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার রাখেন তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতই হবে। দ্রুত চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই, এ, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

৫) চুল আঁচড়ানোর সময় মনোযোগ দিন

চুল অনেক জোরে ঘষে আঁচড়ানো, চুলে টান লাগা, চুলের জট এক টানে ছাড়িয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়, চুল পড়া বাড়ে এবং চুল ভেঙেও যায়। চুল খুব ভালো করে সময় নিয়ে আঁচড়ান।

৬) ভেজা চুল তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না

চুল শুকানোর জন্য অনেকেই গোসল শেষে ভেজা চুল তোয়ালেতেই পেঁচিয়ে রাখেন যা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে চুলের গোঁড়া একেবারেই নরম হয়, যার কারণে চুল পড়া বাড়ে। চুল বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। গোসল সেরে ফ্যানের বাতাসে চুল ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। এবং অবশ্যই চুল ঝাড়ার কাজটিও করবেন না।
মনে রাখবেন, চুল বৃদ্ধির কাজটি ১ রাতেই হবে না। আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং অবশ্যই চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে। আপনার অসাবধানতা চুলের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং সাবধান হোন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

হাল ফ্যাশনের দারুণ আকর্ষণীয় ও ভিন্ন মাত্রার ১০টি ব্লাউজ (দেখুন ছবিতে)

ঈদ মানেই রকমারি পোশাকের বাহার আর প্রচুর কেনাকাটা। বিশেষ করে নারীদের জন্য তো অবশ্যই। এই ঈদে যারা শাড়ি পরবেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই দর্জিবাড়িতে যাতায়াত শুরু করে দিয়েছেন। নাহলে যে ঈদের আগে মিলবে না কাঙ্ক্ষিত পোশাক! আপনার শখের শাড়িকে আরও একটু আকর্ষণীয় করে তুলবে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ব্লাউজ। কালের আবর্তে ব্লাউজের ডিজাইন অনেকটাই বদলে গেছে। এছাড়া ঈদটা গরমকালে বিধায় ছোট হাতা ও একটু বড় গলার ব্লাউজই রয়েছে ফ্যাশনের ধারায়। চলুন, দেখে নিন একদম হাল ফ্যাশনের অত্যন্ত আকর্ষণীয় কিছু ব্লাউজের ডিজাইন। আর স্টাইলিশ পোশাকে হয়ে উঠুন অনন্যা।,
স্লিভলেস পাচ্ছে কদর এবারের ঈদে।
সামান্যতেই অসামান্য।

এই ব্লাউজটি লম্বা করে বানালেও খারাপ লাগবে না।

স্লিভলেসে ভিন্ন মাত্রা।

একটু গরজিয়াস ব্লাউজ পরাটাই এখনকার ফ্যাশন।

একেবারেই ভিন্নরকম কাটছাঁট।

সব বয়সীদেরই মানিয়ে যাবে এই নকশা।

এই ব্লাউজগুলো একটু খাটোই পরতে হবে।

চলবে এক রঙের বাহারি কাপড়ও।


বিয়ের প্রথম রাতে যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় মেয়েরা

বিয়ে মানেই একটি ছেলে এবং মেয়ের জীবনে অনেক বেশিই পরিবর্তন আসা। আর নারীর জীবনে পরিবর্তনটা একটু বেশিই আসে। কেননা সকল আপন মানুষকে ছেড়ে একা অন্যের বাসাতে গিয়ে মানিয়ে চলার চেষ্টা। আর নারীর জীবনের এই পরিবর্তনটা আসে হুট করেই এবং বিয়ের প্রথম দিন থেকেই। আর বিয়ের প্রথম দিন থেকে একটি মেয়ের নানা বিষয়ে নানা রকমের ভাবনার খেলা। অনেকেই ভাবে বিয়ের প্রথম দিনগুলো স্বপ্নের মতো কেটে যায় খুব সুন্দর ভাবে কিন্তু বিবাহিতরা ভাবেন অন্য কথা। তাদের মাথাতে প্রথমেই আসে প্রথম দিনগুলো কীভাবে পার করবে একে অন্যের সাথে। ১) প্রতিটি নারীর মনে বিয়ের প্রথম দিনে প্রথম যে কথাটি বাজতে থাকে তা হচ্ছে, ‘সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো তো, সকলে আমাকে পছন্দ করবে তো’। শ্বশুর বাড়ির সকলের সাথে তাল মেলানোর কঠিন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় প্রথম দিন থেকেই। ২) যদিও প্রায় অনেক ঘরেই বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ লেগে থাকে, কিন্তু বিয়ের প্রথমেই কিন্তু নারীদের মনে শাশুড়ির প্রতি সম্মানই থাকে যা হয়তো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়। আর তাই বিয়ের প্রথম দিনেই নারীরা ভাবতে থাকেন শাশুড়ির মন জুগিয়ে কীভাবে চলা যায়। ৩) আরেকটি ভয়াবহ ব্যাপার নিয়ে বিয়ের প্রথম দিনেই নারীরা ভাবেন তা হলো রান্না করার ব্যাপারটি। যতো পাকা রাঁধুনিই হোন না কেন বিয়ের পরপর নতুন একটি বাড়িতে এসে সকলের স্বাদমতো রান্নার চাপে সব গুলিয়ে বসে থাকেন, আর ভাবেন, ‘আমার রান্না অখাদ্য হবে না তো’। ৪) নিজের বাসায় পুরনো আরামদায়ক একসেট কাপড় পড়ে দিন পার করে দিলেই চলতো, কিন্তু বিয়ের পর প্রথম দিন থেকেই কোন পোশাকটি পরা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান নারীরা। কোনটি পড়লে মানানসই হবে এবং তা আরামদায়কও হবে না নিয়ে চিন্তা করে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। ৫) প্রেমের বিয়ে হোক বা পরিবারের পছন্দের বিয়েই হোক না কেন, বিয়ের প্রথম দিনেই নারীদের মনে বাজতে থাকে, ‘ভুল সিদ্ধান্ত নিলাম না তো, আরেকটু বোঝা উচিত ছিল কি অথবা এখন কি করবো’ ধরণের বিষয়গুলো। ৬) বোঝার বয়স হওয়ার পর থেকেই কমবেশি প্রায় সকল মেয়েরাই বিয়ের প্ল্যান করে থাকেন। আর তাই ‘আমি গতকালও বিয়ে নিয়ে কতো প্ল্যান করছিলাম, আজকে সত্যিই আমি বিবাহিতা!’ এই বাক্যটি কমবেশি সব নারীর মনে হতে থাকে প্রথম কয়েকটা দিন। ৭) সকালে ঘুম থেকে উঠা নিয়ে চিন্তায় থাকেন বিয়ের প্রথম দিন থেকেই প্রায় প্রতিটি নারী। ‘সঠিক সময়ে উঠলাম তো’ এই চিন্তা করেই বিছানায় পার করে দেন সকালের প্রথম ১০ মিনিট।

অতিরিক্ত পা ঘামার সমস্যা? চটজলদি জেনে নিন কার্যকরী সমাধান

অতিরিক্ত পা ঘামা অনেক বিরক্তিকর একটি সমস্যা, বিশেষ করে এই গরমে। মানসিক চাপ, জীবনযাপনের পরিবর্তন, অপরিষ্কার পা ইত্যাদি সমস্যার কারণে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হয়। আর ঘেমে যাওয়া পায়ে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে যার ফলে বিশ্রী দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় যা অনেক বেশিই বিব্রতকর। এই বিব্রতকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার খুব সহজ কিছু সমাধান রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) বেকিং সোডার ব্যবহার
বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পা পরিষ্কার রাখতে এবং পায়ে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি বন্ধে সহায়তা করে। এতে করে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এবং বিশ্রী দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে। পা খুব ভালো করে পরিষ্কার করে, হাতে কিছু বেকিং সোডা নিয়ে পায়ে ঘষে নিন ভালো করে। এতে করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া বন্ধ হবে। চাইলে বন্ধ জুতোর ভেতরেও ছিটিয়ে নিতে পারেন খানিকটা বেকিং সোডা, এতেও অনেক উপকার পাবেন।
২) লবণ পানির ব্যবহার
লবণ পানি পায়ের ফাঙ্গাস আক্রমণ প্রতিহত করে। নিয়মিত লবণ পানির ব্যবহারে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই কমে আসে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। পা ঘামার সমস্যা দূর হবে, সেইসাথে পায়ে ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও রেহাই পাবেন ও সারাদিনের ক্লান্তি অনেকটা কাটিয়ে উঠতেও পারবেন।
জেনে রাখুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
– পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন। অপরিষ্কার পা বেশি ঘামে।
– বাইরে থেকে এসেই পা ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে হ্যান্ড ওয়াশ বা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার পর ভালো করে পা মুছে ফেলবেন।
– মোজা পড়ার অভ্যাস থাকলে প্রতিদিন ধুয়ে ও ভালো করে শুকিয়ে মোজা পরুন। এবং অবশ্যই সুতি, নরম আঁশের ঢিলেঢালা মোজা পরবেন।
– নিয়মিত জুতো পরিষ্কার রাখুন। জুতোর ভেতরে বেকিং সোডা বা কর্ণফ্লাওয়ার ছিটিয়ে রাখবেন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

সন্তান হবার পর খুব সহজে ফিরিয়ে আনুন নিজের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য


সন্তান ধারণ করা একজন নারীর জীবনের অত্যন্ত বড় একটি ঘটনা। সন্তান ধারণ, সন্তানের জন্ম এবং একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সন্তানের দেখাশোনা করা, সব মিলিয়ে বেশিরভাগ নারীই যেন হারিয়ে ফেলেন নিজেকে। হারিয়ে ফেলেন নিজের সেই রূপ ও সৌন্দর্য, নিজের সত্ত্বা। সন্তান লালন পালন অবশ্যই সবচাইতে জরুরী, কিন্তু একইসাথে একটু মনযোগ দিতে হবে নিজের দিকেও। অন্যথায় দাম্পত্য জীবনে দেখা দিতে পারে সমস্যা, আপনি নিজেও ভুগতে পারেন হীনমন্যতা ও হতাশায়। চলুন, জেনে নিই ৮টি সহজ উপায়, যেগুলো সন্তান হবার পর অল্প সময়ে চটজলদি ফিরিয়ে দেবে আপনার সৌন্দর্য।
১) সন্তান হবার পর একজন ডায়েটেশিয়ানের সাথে যোগাযোগ করুন। সম্ভব হলে সন্তান ডেলিভারির আগেই করুন। কীভাবে সন্তানকে বুকের দুধ খাইয়েও আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, সেটা জেনে নিন ও ডায়েট চার্ট তৈরি করিয়ে নিন। সন্তান হবার পর ওজন বেড়ে গিয়েছে? চেহারা মলিন ও বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে? সন্তানের বয়স যতই হোক না কেন, একজন ডায়েটেশিয়ান দেখিয়ে ডায়েট চার্ট অবশ্যই করে নিন। তাঁকে আপনার লাইফ স্টাইল ও রুটিন সম্পর্কে খুলে বলুন। তিনি সেটার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আপনাকে একটা ডায়েট চার্ট করে দেবেন।
২) যাদের পক্ষে পেশাদার ডায়েটেশিয়ান দেখানো সম্ভব না, তাঁরা নিজেরাই একটা রুটিন তৈরি করে নিন। স্বাভাবিক ভাবে যা খান, তাই খাবেন। শুধু খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, সফট ড্রিঙ্ক, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি। এসব খাবার আপনার সন্তানের কোন উপকারে আসে না, আপনারও নয়। এসব ছাড়ার পাশাপাশি রোজ অল্প অল্প করে হাঁটুন। ধরণ বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানোর ছলেই খানিকটা হেঁটে নিলেন। বাচ্চার সাথে দৌড়া দৌড়ি করে খেলুন। এতেই আপনার ব্যায়ামের কাজ হয়ে যাবে।
৩) একজন ভালো বিউটিশিয়ানের সাথে যোগাযোগ করুন। সন্তান হবার পর প্রায় সকলেরই ত্বক ও চুল একদম নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ, আর প্রচণ্ড চুল উঠতে থাকে। এই সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে কেবল একজন রূপ বিশেষজ্ঞ। যদি পার্লারে যাওয়া সমস্যা হয়, তাহলে বাসায় কাউকে ডেকে নেবেন। আজকে অনেক বিউটিশিয়ানই বাসায় এসে ফেসিয়াল সহ নানা রকমের রূপচর্চা করিয়ে থাকেন। খরচও তেমন বেশী না। এমন কারো সাথে যোগাযোগ করে নিন। একটু কষ্ট করে হলেও নিজের সৌন্দর্যচর্চায় সপ্তাহে একদিন কয়েকঘণ্টা দিন।
৪) বিউটিশিয়ানের কাছে রূপচর্চা সম্ভব না হলে হতাশ হবেন না, নিজেই কিছু সাধারণ রূপচর্চা করুন। বাজারে অনেক রকম ফেসমাস্ক কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন। একদম অল্প সময়ে রূপচর্চা, সন্তানের ঘুমের ফাঁকেও করতে পারবেন। নিদেন পক্ষে মুলতানি মাটির সাথে চন্দন, কাঁচা দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন। সব ধরণের ত্বকেই মানিয়ে যাবে।
৫) চুল পাতলা হয়ে যাওয়া রোধ করতে সপ্তাহে দুইদিন চুলে পিঁয়াজের রস মাখুন মাথার ত্বকে। এতে কি হবে, নতুন চুল গজাবে খুব সহজে আর চুল পড়াও বন্ধ জবে। কোন ঝামেলা ছাড়াই চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আর হ্যাঁ, খুশকিও দূর হবে।
৬) সন্তান হবার পর বলাই বাহুল্য যে নিজের পুরনো কাপড়গুলো অনেকেরই গায়ে লাগে না। যতদিন সেসব কাপড় আবার পরতে না পারছেন, ততদিন তো আর স্টাইলকে দূরে রাখা যায় না। ব্যস্ততার মাঝেই আস্তে আস্তেই নিজের জন্য নতুন কিছু পোশাক কিনে বা বানিয়ে ফেলুন, যেগুলো আপনার বাড়তি ওজন বা অন্যান্য ত্রুটি দেখে রাখবে। আজকাল অনেক ফ্যাশন হাউজেই মায়েদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি আরামদায়ক ও স্টাইলিশ পাওয়া যায়, সেগুলো কিনে ফেলুন।

৭) সন্তান পালন একটি খুব কঠিন কাজ, বলতে গেলে নিজের জন্য কোন সময়ই পাওয়া যায় না। কিন্তু তবুও, এর মাঝেই চেষ্টা করুন একটি বিশ্রাম নিতে। যত বিশ্রাম নেবেন, যেটুকু ঘুমাতে পারবেন আপনার সেটুকুতেই লাভ। ঘুমালে শরীর, মন ও সৌন্দর্য সবকিছুরই উপকার হয়।
৮) ব্যস্ততার ফাঁকেও নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখুন। যেন আই ব্রো নিয়মিত প্লাক করাবেন। একটু চুল আঁচড়ে বেঁধে রাখুন, মুখে বুলিয়ে নিন পাউডার, হালকা সাজগোজ করুন। দেখবেন নিজের কাছেই ভালো লাগছে। এভাবে আস্তে আস্তে নিজেকে গুছিয়ে নিন।
সবার শেষে মনে রাখবেন। সন্তান আপনার জীবনেরই একটা অংশ। কিছু বছর পর সব ঠিক হয়ে যাবে, এমনটা ভেবে ভুল করবেন না। সন্তান আপনার সাথে আজীবন থাকবে। তাই সন্তানের দেখাশোনা ঠিক রেখেই নিজেকেও যত্ন করুন। নিজের আত্মবিশ্বাস যখন বেড়ে যাবে, তখন জীবনের সব কিছুতেই ভালো লাগা খুঁজে পাবেন।

৬ টি মেকআপ সমস্যার চটজলদি গোপন সমাধান জেনে রাখা উচিত নারীদের


মেকআপ করা নারীদের শখই বলতে পারেন। খুব কম নারীই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা একেবারেই মেকআপ করতে চান না। একটু হলেও মেকআপ করা নারীদের শখের পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু মেকআপের কিছু সমস্যা, যেমন কাজল ছড়িয়ে যাওয়া, লিপস্টিক লেপটে যাওয়া, নেলপলিশ না শুকানো, চুলে ক্লিপ আটকে না থাকা ও আরও নানা ছোটোখাটো সমস্যা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই সকল সমস্যার খুব সহজ কিছু সমাধান রয়েছে। এই সমাধান গুলো সময় বাঁচাবে এবং আপনার কষ্টও। চলুন না তাহলে শিখে নেয়া যাক মেকআপের কিছু সমস্যার চটজলদি সমাধান।

১) নেলপলিশ দ্রুত শুকানো

নেলপলিশ দিয়ে হাত গুটিয়ে কতক্ষণ বসে থাকা যায় বলুন। আর যদি তাড়াহুড়ো থাকে তাহলে তো অনেকে শুকানোর ভয়ে নেলপলিশই দেন না। তার চাইতে এক কাজ করুন। নেলপলিশ দিয়ে হাত ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। খুব দ্রুত শুকিয়ে যাবে নেলপলিশ।

২) চুলে ক্লিপ আটকানো

ঘরে বসে একটু স্টাইল করে চুল বাঁধতে চাইলে অনেকেই ববি ক্লিপ অর্থাৎ চিকণ পার্লারের কালো ক্লিপ ব্যবহার করেন। কিন্তু সমস্যা হলো ক্লিপ কিছুক্ষণের মধ্যেই খুলে এসে পড়ে চুল ঢিলে হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে ববি ক্লিপ উল্টো করে লাগান, অর্থাৎ ঢেউ খেলানো অংশ চুলের গড়ার দিকে দিন। আরও বেশি শক্ত চাইলে ক্লিপ ব্যবহারের আগে ক্লিপে হেয়ার স্প্রে দিয়ে নিন। সমস্যার সমাধান।

৩) কাজল ছড়িয়ে যাওয়া

অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। কাজল ছড়িয়ে গেলে দেখতেও বিশ্রী লাগে। এক কাজ করুন কাজল লাগানোর আগে চোখের চারপাশে কনসিলার ব্যবহার করুন বা পাউডার ছড়িয়ে নিন। এতে বাড়তি ময়েসচার শুষে নেবে এবং কাজল ছড়াবে না। সবচাইতে ভালো হয় যদি সাধারণ কাজলের পরিবর্তে জেল কাজল ব্যবহার করেন।

৪) হিট ছাড়াই চুল কার্ল করা

চুলের ক্ষতি না করে চুল কার্ল করতে চান? শক্ত করে বেণী গেঁথে ঘুমুতে চান, দেখবেন দারুণ সুন্দর কার্ল হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও রোল পিনের ব্যবহারে সহজেই চুল কার্ল করতে পারবেন।

৫) লিপস্টিক ছড়ানো বন্ধ করা

লিপস্টিক ব্যবহারের পর, ঠোঁটের চারপাশে কনসিলার দিয়ে লাইন তৈরি করে দিন। এতে করে লিপস্টিক ছড়াবে না। এছাড়াও লিপস্টিক দেয়ার পর একটি টিস্যু ঠোঁটের উপর চেপে ধরে উপরে পাউডার ব্রাশ করে নিলেও সমস্যার সমাধান হবে।

৬) চোখের পাপড়ি ঘন করা

১ বার মাশকারা ব্যবহার করলে চোখের পাপড়ি খুব ঘন দেখায় না। আবার বেশিবার ব্যবহার করলে লেপটে থাকে যা দেখতে বিশ্রী লাগে। এক কাজ করুন। প্রথমে ১ কোট মাশকারা দিয়ে একটি কটনবাডের ব্যাবহারে পাপড়িতে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন। একটু অপেক্ষা করে আরেক কোট দিন। ব্যস, এবারে দেখুন কতোটা সুন্দর লাগছে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

Saturday, June 27, 2015

খুশকি কী এবং প্রতিকার


খুশকি কী
এটা মাথার চামড়ার মৃত কোষ।
পরিসংখ্যান
খুশকি সব লিঙ্গের মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
পৃথিবীর অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে খুশকির প্রকোপ দেখা দেয়।
খুশকির ফলে মাথায় চুলকানি হয়ে থাকে।
খুশকির মাত্রা ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। শীতকালে এর মাত্রা বেড়ে যায়।
খুশকির কারণ
নানা কারণে মাথায় খুশকি হতে পারে
শুষ্ক ত্বক।
ডার্মাটাইটিস (সেবোরিক)।
মাথা পরিষ্কার না করলে।
চর্মরোগ যেমন সরিয়াসিস, একজিমা।
ফানগাস ইনফেকশান।
খুশকি মুক্ত থাকার উপায়
নিম পাতার রসের আছে এন্টিফাংগাস ও এন্টিবায়োটিক কার্যকারিতা। এক মুঠো নিম পাতা ৪ কাপ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করুন। পানি ঠাণ্ডা করুন। এটা দিয়ে চুলের গোড়ায় সপ্তাহে ২-৩ দিন লাগান।
নারিকেল তেলের মধ্যে আছে এন্টিফানগাল উপাদান। খানিক নারিকেল তেল দিয়ে এতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস মেশান। তারপর চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘষুন। ২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
হোয়াইট ভিনেগার। এটা ঘরে বসে খুশকি দূর করার অন্যতম কার্যকর উপায়। ভিনেগারে এসিটিক এসিড থাকে যা ফাংগাস জন্মাতে বাধা দেয় এবং চুলকানি দূর করে। ভিনেগার নিয়ে এর সঙ্গে পানি মিশাবেন। চুলে শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ মাথায় লাগান।
মারাত্মক খুশকি দূর করতে চুলে শ্যাম্পু করার পর এলকোহল ভিত্তিক মাউথওয়াশ চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।
এছাড়া লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে চুলের গোড়া ঘষে ব্যবহার করুন, এত খুশকি মাত্রা কমে আসবে।

সুস্থ থাকার জন্য গোসল করুন এই “বিশেষ” পদ্ধতিতে

আজকাল প্রায়ই মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ, বিষণ্ণতা, স্ট্রেস ইত্তাদিতে ভোগেন? কিছুই ভালো লাগে না আর জীবনটাও কেমন ফিকে লাগে? জেনে রাখুন, আপনার শরীরের দূষণটাই এর জন্য দায়ী! ভেজাল খাবার থেকে শুরু করে পরিবেশন দূষণ, সব মিলিয়ে প্রতিদিনই হরেক রকম দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে আপনার শরীরে। কিন্তু সেগুলো বের হয়ে যাচ্ছে কি? না, বের হচ্ছে না বরং জমছে প্রতিনিয়ত। আর সেগুলোর কারণেই দিন দিন একটু একটু করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন আপনি। কী করবেন? জেনে রাখুন গোসল করার এমন একটু জাদুকরী উপায়, যা আপনার শরীর থেকে এই দূষিত পদার্থ দূর কবে এবং আপনাকে রাখবে সুস্থ সবল। বিশেষ ৫টি অসুস্থতা ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক অসুখও দূরে রাখবে এই পদ্ধতি। চলুন, জেনে নিই।
যা যা লাগবে
১ মুঠো ইপসাম সল্ট
১/২ কাপ বেকিং সোডা
১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল
স্ট্রেস দূর করে রিল্যাক্স অনুভব করতে Lavender এসেনশিয়াল অয়েল, ক্লান্তি দূর করতে Grapefruit এসেনশিয়াল অয়েল, শারীরিক ও মানসিক অবসার দূর করতে Peppermint এসেনশিয়াল অয়েল, বিষণ্ণতা দূর করতে Cedarwood এসেনশিয়াল অয়েল, মাথা ব্যথা দূর করতে Chamomile & Rosemary এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করবেন। এই তেল বড় কসমেটিকসের দোকানে পাবেন। ঢাকায় আলমাসশ বিদেশী পণ্য পাওয়া যায় এমন দোকানে খোঁজ করবেন। বড় সুপার মার্কেটেও করতে পারেন।
যেভাবে গোসল করবেন
-বাথটাবে উষ্ণ পানি দিয়ে এর মাঝে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন।
-তারপর এই পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বসে থাকুন। আরাম করুন।
-যাদের বাথটাব নেই, তাঁরা ১৫/২০ মিনিট সময় নিয়ে খুব আস্তে আস্তে শরীরে পানি ঢালুন। মাথায় দেবেন না। পাদুটো এই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।এতাও দূষিত উপাদান বের করতে সাহায্য করে।
-তারপর সাধারণ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সাধারণভাবে গোসল সেরে নিন।
-সপ্তাহে ২/১ বার এভাবে গোসল করুন।
-অবশ্যই মনে রাখবেন যে এই সময়ে প্রচুর পানি খেতে হবে। গোসল শুরু করার আগে, বাথটাবে বসে থাকা অবস্থায় ও গোসলের পর কমপক্ষে ৩ গ্লাস পানি পান করবেন। এতে শরীর সহজে দূষণমুক্ত হবে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

ছেলেদের জেনে রাখা দরকার, আন্ডারওয়্যারের কারণে কি কোনো ধরনের রোগ হতে পারে?


ছেলেদের আন্ডারওয়্যারের কারণে কি কোনো ধরনের রোগ হতে পারে?
এমন কোনো পুরুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর যে বর্তমান যুগে আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করেন না । তবে বেশিরভাগ পুরুষই জানেন না, এই আন্ডারওয়্যারও হতে পারে ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণ। সম্প্রতি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
লন্ডনের হুইটিংটন হসপিটাল এবং দ্য হার্লে স্ট্রিট ডার্মাটোলজি ক্লিনিকের ডার্মাটোলজিস্ট কনসালটেন্ট অ্যাডাম ফ্রেইডম্যান বলেছেন, কুঁচকি থেকে শুরু করে শুক্রাশয়ের অ্যালার্জি এবং ব্যাথার কারণ হতে পারে আন্ডারওয়্যার। কুঁচকির অ্যালার্জিকে সাধারণত ‘জক ইচ’ নামে পরিচিত।‘জক ইচ’ সাধারণত ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। গ্রীষ্মেই এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। কারণ তখন একদিকে ঘাম হয়, অপরদিকে কাজের সুবাদে দীর্ঘক্ষণ পুরুষকে প্যান্ট পরে থাকতে হয়।
অ্যাডাম বলেন, এধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে আন্ডারওয়্যারের মতো আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করে এমন প্যান্ট এবং আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করা উচিত, যা ঘাম শোষন করে। এ তালিকায় অবশ্যই সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা জাতীয় কাপড় পরিহার করা উচিত সবার।
গিলফোর্ডের রয়্যাল সার্যে কাউন্টি হাসপাতালের ক্রিস্টোফার ইডেন বলেন, কম শোষক কাপড়, যেমন- সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব আঁটসাঁট কাপড় অন্ডকোষ শরীরের কাছে ধরে রাখে। অন্ডকোষ সাধারণত গরম এবং ঘর্মাক্ত থাকে। এসব কারণে ফাংগাস জন্মাতে পারে।
তিনি বলেন, শরীরের এই অংশে যতোটা সম্ভব বাতাসের প্রবাহ থাকা জরুরি। কিন্তু আন্ডারওয়্যার এই প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, অনেক সময়ই পুরুষ অন্ডকোষের ব্যাথায় ভোগে। কিন্তু সে জানে না, কেন এই সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছরের মাঝের পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়।
বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের উইরোলজিস্ট যাকি আলমাল্লাহ বলেন, কিছু পুরুষ নিয়মিত এই সমস্যার মুখোমুখি হয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা যখন বসে থাকে বা গাড়ি চালায়। আন্ডারওয়্যার এই সমস্যার অন্যতম কারণ। পুরুষরা যদি আন্ডারওয়্যার পরিহার করে বা ঢিলেঢালা আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করে, তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পেতে পারে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্তর্বাস ব্যবহারের ১০টি সঠিক নিয়ম


নারীর ব্রা-প্যান্টি বলুন অথবা পুরুষের স্যান্ডো গেঞ্জি-বক্সার, অন্তর্বাসের তালিকায় পড়ে সবকিছুই। পুরুষেরা তাঁদের পরিধেয় অন্তর্বাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচেতন হলেও নারীদের মাঝে এই সচেতনতা খুব কম। স্বাস্থ্যের চাইতে নারীরা সৌন্দর্য আর ফ্যাশনকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন যা একেবারেই অনুচিত। চলুন, জেনে নেয়া যাক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই অন্তর্বাস ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম, যা নিঃসন্দেহে অনেকেই জানেন না।
১) অন্তর্বাস যেটাই হোক না কেন, সেটা ব্যবহার করবেন সঠিক সাইজের। এমনকি গেঞ্জিটাও খুব বেশী ঢিলেঢালা বা টাইট ব্যবহার করবেন না। ভুল মাপের অন্তর্বাস পরিধান করলে যে উদ্দেশ্য আপনি অন্তর্বাস পরেন, সেটিই পূরণ হয় না। গোপন অঙ্গ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পায় বেশী ঢিলেঢালা হলে এবং বেশী টাইট হলে অধিক চাপে দেহের ক্ষতি হয়। এছাড়া এর ফলে আপনার ওজনটাও বেশী দেখা যায়!
২) ফ্যাশনের চাইতে আরামটাকেই গুরুত্ব দিন অন্তর্বাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। এই পোশাকটি আপনি বলতে গেলে সারাদিনই পরিধান করেন, তাই এটা আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব দোকানে অন্তর্বাস পরিধান করে কেনার সুযোগ আছে, সেখান থেকে কিনলেই ভালো। তবে হাইজিন ইস্যুতে বেশিরভাগ দোকানেই এই সুযোগটা আপনি পাবেন না। সেক্ষেত্রে আগে কম কিনে দেখুন পোশাকটি আরামদায়ক কিনা।
৩) অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে ফেব্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভুল ফেব্রিকে আপনি যে কেবল অস্বস্তি বোধ করবেন তাই নয়, এর ফলে আপনার ত্বকেও দেখা দেবে নানান রকম সমস্যা। খুব বেশী মোটা কাপড়ের অন্তর্বাস পরিধান করবেন না। এতে পোশাকটি ভিজে গায়ের সাথে লেপটে থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মে ত্বকের নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হবেন আপনি। খুব বেশী পাতলা অন্তর্বাসও পরিধান করবেন না।

৪) অন্তর্বাসের ফিতা বা অন্য কোন অংশ যদি শরীরের সাথে একদম চেপে বসে থাকে বা ব্যথা পেতে থাকেন আপনি, তবে বুঝবেন অন্তর্বাসটি ভুল সাইজের। সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার না করাই উত্তম।
৫) একই অন্তর্বাস বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। একটি অন্তর্বাস ৬ মাসের বেশী ব্যবহার না করাই উত্তম।
৬) অন্তর্বাস প্রতিদিন বদলে ফেলুন ও ধুয়ে ফেলুন। যারা খুব বেশী ঘামেন তাঁরা দিনে দুবার বদল করুন। একই অন্তর্বাস পর পর দুদিন পরিধান করবেন না।
৭) রাতের বেলা অন্তর্বাস পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এতে শরীরের তেমন কোন উপকার হয় না। বরং অন্তর্বাস ছাড়া রাতে ঘুমালে শরীর আরাম পায়।
৮) যত বড় স্টোর থেকেই অন্তর্বাস কিনুন না কেন, কখনোই না ধুয়ে পরিধান করবেন না। অবশ্যই দোকান থেকে কেনার পর ভালো করে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন।
৯) প্রতিবার অন্তর্বাস ধোয়ার পর জীবাণুনাশক দ্রব্যে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ডেটল বা অন্য যে কোন জীবাণুনাশক পণ্য ব্যবহার করুন।
১০) সিনথেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস পরিহার করুন। সুতি বা প্রাকৃতিক তন্ত হতে তৈরি এমন অন্তর্বাস বেছে নিন। অন্তর্বাস কেনার পর ভেতরের ট্যাগগুলো খুলে ফেলে দিন। এতে অনেক আরামদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

তিল দেহের কোথায় থাকলে কি হয় ?



তিল দেহের কোথায় থাকলে কি হয় ? সাধারণত শরীরের কোনও বিশেষ অংশে একটি তিলের অবস্থান সেই অঙ্গের সৌন্দর্যকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। ভাবুন একদা বিশ্ব মাতানো সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনা কিংবা সুপার মডেল সিন্ডি ক্রফোর্ডের ঠোঁটের ওপরের তিলের কথা ! ওই একটিমাত্র তিল তাদের সৌন্দর্যকে করেছে বহুগুণ আকর্ষণীয় আর কাম্য।
তবে তিলকে শুধুমাত্র শারীরিক সৌন্দর্যের জ্যোতি বাড়ানোর কারিগর হিসেবেই ভাবা হয় না। চিন্তাশীল মানুষদের অনেকেই ভাব-লক্ষণ আর অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিচারে সিদ্ধান্তে চেয়েছেন শরীরের তিলের অবস্থঅনের ভাল-মন্দ নিয়ে। তেমনি কিছু ধারণা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে অনেক চিন্তাশীল মানুষ এটাও মনে করেন যে—এসব ধারণা আসলে কুসংস্কারকেই শক্তিশালী করে এবং এগুলোর সত্যিকারের কোনও ভিত্তি নেই।
তবে পক্ষে বিপক্ষের চিন্তা বাদ দিয়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য প্রচলিত ধারণাগুলো তুলে ধরা হল ।
প্রাচীন সমুদ্র শাস্ত্রে তিল দেখে ভাগ্য নির্ধারণের পদ্ধতি বর্ণনা করা আছে। তিল দেখে আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জানতে পারি। শরীরের বিভিন্ন অংশে তিলের উপস্থিতি, রং, আকৃতি প্রভৃতি দেখে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করতে পারি। দীর্ঘ গবেষণার পর ভারতীয় উপমহাদেশীয় পণ্ডিতরা এ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।
পুরুষের শরীরে ডান দিকে এবং নারীদের শরীরে বাঁ দিকে তিল থাকা শুভ। আসুন দেখি আমাদের ভাগ্য সম্পর্কে তিল কী বলে। কোনো ব্যক্তির শরীরে ১২টির বেশি তিল হওয়া শুভ মনে করা হয় না। ১২টার কম তিল হওয়া শুভ ফলদায়ক।
যাদের ভ্রুতে থাকে তারা প্রায়ই ভ্রমণ করেন। ডান ভ্রুতে তিল থাকলে ব্যক্তির দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। আবার বাঁ ভ্রুর তিল দুঃখী দাম্পত্য জীবনের সঙ্কেত দেয়।
মাথার মাঝখানে থাকলে তা নির্মল ভালোবাসার প্রতীক। ডান দিকে তিল থাকা কোনো বিষয়ে নৈপুণ্য দর্শায়। আবার যাদের মাথার বাঁ দিকে তিল আছে তারা অর্থের অপচয় করেন। মাথার ডান দিকের তিল ধন ও বুদ্ধির চিহ্ন। বাঁ দিকের তিল নিরাশাপূর্ণ জীবনের সূচক।
ডান চোখের মণিতে  থাকলে ব্যক্তি উচ্চ বিচার ধারা পোষণ করে। বাঁ দিকের মণিতে যাদের তিল থাকে তাদের বিচার ধারা ভালো হয় না। যাদের চোখের মণিতে তিল থাকে তারা সাধারণত ভাবুক প্রকৃতির হন।
চোখের পাতায় থাকলে ব্যক্তি সংবেদনশীল হন। তবে যাদের ডান পাতায় থাকে তারা বাঁ পাতায় তিলযুক্ত লোকের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল।
কানে থাকা ব্যক্তি দীর্ঘায়ু হন।
স্ত্রী বা পুরুষের মুখমণ্ডলের আশপাশের তিল তাদের সুখী ও ভদ্র হওয়ার সঙ্কেত দেয়। মুখে তিল থাকলে ব্যক্তি ভাগ্যে ধনী হন। তার জীবনসঙ্গী খুব সুখী হয়।
নাকে থাকলে ব্যক্তি প্রতিভাসম্পন্ন হন এবং সুখী থাকেন। যে নারীর নাকে রয়েছে তারা সৌভাগ্যবতী হন।
যাদের ঠোঁটে রয়েছে তাদের হৃদয়ে ভালোবাসায় ভরপুর। তবে ঠোঁটের নীচে থাকলে সে ব্যক্তির জীবনে দারিদ্র্য বিরাজ করে।
গালে লাল থাকা শুভ। বাঁ গালে কালো তিল থাকলে, ব্যক্তি নির্ধন হয়। কিন্তু ডান গালে থাকলে তা ব্যক্তিকে ধনী করে।
যে স্ত্রীর থুতনিতে থাকে তিনি সহজে মেলামেশা করতে পারেন না। এরা একটু রুক্ষ স্বভাবের হন।

ডান কাঁধে থাকলে সেই ব্যক্তি দৃঢ়চেতা। আবার যাদের বাঁ কাঁধে তিল থাকে তারা অল্পেই রেগে যান।
যার হাতে থাকে তারা চালাক-চতুর হন। ডান হাতে তিল থাকলে, তারা শক্তিশালী হন। আবার ডান হাতের পিছনে থাকলে তারা ধনী হয়ে থাকেন। বাঁ হাতে থাকলে সেই ব্যক্তি অনেক বেশি টাকা খরচ করেন। আবার বাঁ হাতের পিছনের দিকে থাকলে সেই ব্যক্তি কিপটেও হন।
যে ব্যক্তির ডান বাহুতে থাকে তারা প্রতিষ্ঠিত ও বুদ্ধিমান। বাঁ বাহুতে থাকলে ব্যক্তি ঝগড়াটে স্বভাবের হন। তাঁ বুদ্ধিতে খারাপ বিচার থাকে।
যাদের তর্জনীতে তিল থাকে তারা বিদ্বান, ধনী এবং গুণী হয়ে থাকেন। তবে তারা সব সময় শত্রুদের কারণে সমস্যায় থাকেন।
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে তিল থাকলে ব্যক্তি কর্মঠ, সদ্ব্যবহার এবং ন্যায়প্রিয় হন। মধ্যমায় থাকলে ব্যক্তি সুখী হন। তার জীবন কাটে শান্তিতে।
যে ব্যক্তির কনিষ্ঠায় রয়েছে তারা ধনী হলেও জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হয়।
যার অনামিকায় থাকে, তারা জ্ঞানী, যশস্বী, ধনী ও পরাক্রমী হন।
গলার সামনের দিকে থাকলে ব্যক্তির বাড়িতে বন্ধু-বান্ধবের আনাগোনা লেগে থাকে। গলার পিছনে  থাকলে সেই ব্যক্তি কর্মঠ হয়।
যে ব্যক্তির কোমরে  থাকে, তার জীবনে সমস্যার আনাগোনা লেগেই থাকে।
ডান দিকের বুকে থাকা শুভ। এমন স্ত্রী খুব ভালো হয়। পুরুষ ভাগ্যশালী হয়। বা দিকের বুকে থাকলে স্ত্রীপক্ষের তরফে অসহযোগিতার সম্ভাবনা থাকে। বুকের মাঝখানে থাকলে সুখী জীবনের সঙ্কেত দেয়।
যে জাতকের পায়ে রয়েছে তারা অনেক ভ্রমণ করেন।
যে ব্যক্তির পেটে আছে তারা খুব খাদ্যরসিক হয়। মিষ্টি তাদের অত্যন্ত প্রিয়। তবে তারা অন্যকে খাওয়াতে খুব একটা পছন্দ করে না।
ডান হাঁটুতে থাকলে গৃহস্থজীবন সুখী হয়। বাঁ হাঁটুতে থাকলে দাম্পত্য জীবন দুঃখময় হয়।

Friday, June 26, 2015

কাঁচা রসুনের যে ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার আপনি জানেন না!

রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা আজকাল কমবেশি আমরা সকলেই জানি। আর বাঙলি রান্নায় তো রসুনের ব্যবহার আছেই আছে। ফলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে রসুন। এছাড়া হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে অনেকেই খালি পেটে কাঁচা রসুন খেয়ে থাকেন। কিন্তু কাঁচা রসুনের আর কোন ব্যবহার জানেন কি আপনি? যেমন, কাঁচা রসুন ব্রণ বা গলা ব্যথা সারায় দ্রুত, চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজায়, আবার বেশী মাছ ধরতে বা আঠা হিসাবেও আছে এর ব্যবহার! চলুন, জেনে নিই কাঁচা রসুনের এমনই বিস্ময়কর ১০টি ব্যবহার।
 ১) জ্বর ঠোসা জ্বর হলে, বিশেষ করে রাতে জ্বর হতে থাকলে ঠোঁটের কোণে জ্বর ঠোসা অনেকেরই হয়। আর এতে মারাত্মক ব্যথাও হয়। জ্বর ঠোসা সারাতে কাঁচা রসুনের রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। ব্যথা কমবে আর সেরেও যাবে দ্রুত।
 ২) ব্রণ দ্রুত ব্রণ সারাতে বা ব্রণের ব্যথা কমাতে আক্রান্ত স্থানে কাঁচা রসুন বা কাঁচা রসুনের রস লাগান। দ্রুত নিরাময় হবে।
 ৩) পায়ের চুলকানি সারাদিন জুতো পরে থাকার পর অনেকেরই পায়ে র‍্যাশ ও চুলকানি হয়। এটা সারাতে উষ্ণ পানিতে রসুন ও সামান্য লবণ দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর সাবান ও সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
 ৪) গলা ব্যথা দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় করতে এক কোয়া কাঁচা রসুন চুষে চুষে খেয়ে নিন। গন্ধ ভালো না লাগলে এরপর দুধ খেয়ে নিন এক গ্লাস। কাঁচা রসুনের রস এভাবে আস্তে আস্তে খেলে তা গলা ব্যথায় খুবই উপকারী।
 ৫) ত্বকের সমস্যা ত্বকের যে কোন সমস্যা যেমন ফোঁড়া বা ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি সারাতে রসুন খুবই সহায়ক। কেবল আক্রান্ত সাথে কাঁচা রসুনের রস লাগালেই হবে। ১০/১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
 ৬) হাইপারটেনশন এই সমস্যা নিরাময়ে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েক কোয়া থেঁতো রসুন খেয়ে নিন।
 ৭) বেশী মাছ ধরতে মাছ ধরতে খুব ভালোবাসেন? বেশী মাছ ধরার জন্য টোপের মাঝে দিয়ে দিন কাঁচা রসুন। লোভে লোভে প্রচুর মাছ উপস্থিত হবে।
 ৮) গাছ রক্ষায় পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষায় রসুন দারুণ উপকারী। মিহি থেঁতো করা কাঁচা রসুন, পানি ও সামান্য তরল সাবান একসাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটা কিছুদিন পর পর গাছে স্প্রে করুন পোকামাকড় দূরে রাখতে।
 ৯) আঠা হিসাবে! রসুন ধরার পর লক্ষ্য করেছেন যে হাত কেমন আঠা আঠা হয়ে যায়? কাগজ সহ ছোট খাট অনেক কাজেই আপনি আঠা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন রসুন!
 ১০) নতুন চুল গজাতে চুল পড়ে যাচ্ছে খুব? মাথায় নতুন চুল গজাতে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত রসুন ঘষুন। সাড়া রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মাঝেই নতুন চুল গজাবে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

বহু গুণের অধিকারী কিশমিশ

কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস সর্বজন পরিচিত। যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়। রান্নার কাজে ব্যবহার করা হ’লেও কিশমিশ সাধারণ ভাবে খাওয়া হয় না। অনেকে এটাকে ক্ষতিকর মনে করেন। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। কিশমিশের গুন অনেক! তাই পরিবারের সব সদস্যের প্রয়োজনে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখা উচিত। নিম্নে কিশমিশের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ দেহেশক্তিসরবরাহকরে: দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার। কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী। দাঁতএবংমাড়িরসুরক্ষা: বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু এগুলির পরিবর্তে বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। আবার একই স্বাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ উপকারও পাবে। চিনি থাকার পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়। হাড়েরসুরক্ষা: কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মযবূত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিশমিশে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে। বর্তমানে সময়ে অনেক রুগী অস্টিওপরোসিস (হাড়ের একধরনের রোগ) আক্রান্ত হচ্ছেন। বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাবে এই রোগ হয়। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ বোরন, যা অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক। ইনফেকশনেরসম্ভাবনাদূরীকরণ: কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান, যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হ’তে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে। ক্যান্সারপ্রতিরোধ: কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে। কিশমিশে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পলিফেনলিক অ্যাসিড। এটি ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যদূরীকরণ: কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হ’তে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। রক্তশূন্যতাদূরকরে: রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে; এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এসিডিটিকমায়: রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস। এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমায়। ক্যান্সারঝুঁকিকমায়: খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিশমিশ ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। চোখেরজন্যউপকারি: আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়? কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ, এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। এন্টিকোলেস্ট্রোরেলউপাদান: কিশমিশে কোন কোলেস্ট্রোরেল নাই–এটাই বড় কথা না। বরং কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকেহ্রাস করতে সাহায্য করে। কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ কিশমিশে আছে ৪ গ্রাম পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ।পলিফেনল নামক এন্টি-অক্সিডেন্টও কোলোস্ট্রোরেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কেরখাদ্য: কিশমিশের মধ্যে থাকা বোরন খনিজ পদার্থটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বোরন মস্তিষ্কের কি উপকার করে? এটা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, হাত ও চোখের মধ্যে সমন্বয়কে বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। রক্তচাপনিয়ন্ত্রণেরাখে: কিশমিশ শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষোপাদান কমায় তাই না, বরং রক্তচাপও কমায়। কিশমিশের প্রধান উপাদান, পটাশযি়াম, রক্তরে চাপ কমাতে সাহায্য কর। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিশমিশ শরীররে সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল কমানোর সাত উপায়

১. ঘাম ঝরানো ব্যায়াম : সপ্তাহের কয়েকটি দিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে কোলেস্টেরল কমে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০-৬০ মিনিটের ব্যায়ামে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ৫-১০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

২. খাবারে সতর্কতা : চর্বিযুক্ত মাংস, ডিমের কুসুম, তেলে ভাজা খাবার এবং ঘন দুধ এড়িয়ে চলুন। প্রক্রিয়াজাতভাবে বানানো কেক-বিস্কুটও ত্যাগ করুন। এসব স্যাটুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট দেহের ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।

৩. পরিমিত অ্যালকোহল : যাঁরা অ্যালকোহলে আসক্ত, তাঁরা সামান্য পরিমাণ অ্যালকোহল গ্রহণ করতে পারেন। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা সুষ্ঠু অবস্থায় থাকবে।

৪. ওজন কমানো : আপনার দেহ স্থূল হয়ে থাকলে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, অ্যারোবিকস, সাইকেল চালনা ইত্যাদি ব্যায়াম করতে হবে।

৫. নিয়মিত পালং শাক খাওয়া : বেশি বেশি পালং শাক খেতে পারেন। এই পাতাবহুল সবুজ সবজিতে রয়েছে ১৩ ধরনের উপকারী উপাদান। এগুলো কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।

৬. স্বাস্থ্যের প্রাকৃতিক বিস্ময় মাছ : মাছ খেতে হবে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছকে স্বাস্থ্যের প্রাকৃতিক বিস্ময় বলা হয়। দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে যথাসাধ্য দূরে রাখতে সহায়তা করে মাছের প্রোটিন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের তেলের তুলনাই চলে না।

৭. ধূমপান ত্যাগ : ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। সিগারেটের কার্বন মনোক্সাইড দেহের উপকারী হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। আবার ক্ষতিকারক লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।